সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুতিনের মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিয়েছেন জেলেনস্কি। খারকভ প্রায় পুনর্দখল করে ফেলেছে ইউক্রেন (Ukarine)। ‘পরাজয়’ মানতে না পেরে খারখভের বেসামরিক পরিকাঠামোয় আঘাত হেনেছে মস্কো (Moscow), এমনই অভিযোগ ইউক্রেনের। ফলে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে খারকভে বড় অংশ। বিচ্ছিন্ন জলের সংযোগ। রাশিয়ার এহেন আচরণের তীব্র সমালোচনায় সরব ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Ukraine President) জেলেনস্কি।
ইউক্রেন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধের পর খারকভে পরপর দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শব্দ শোনা গিয়েছিল। একই পরিস্থিতি খারকভের প্রতিবেশী প্রদেশ সুমি, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং পোল্টাভার। তবে ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে জরুরি পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। খারকভের গর্ভনর ওলেগ সিনেগুবভ জানান, প্রতিশোধ নিতে আমজনতাকে টার্গেট করছে রাশিয়া। তারা তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। পানীয় জলও মিলছে না। নিষ্ঠুর আচরণ করছে রাশিয়া। তবে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ইডি দপ্তরে অভিষেকের শ্যালিকা, তলব করেও অফিসে ছিলেন না আধিকারিকরা!]
এই হামলার পর রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী বলে ফের একবার আক্রমণ শানিয়েছেন জেলেস্কি। তিনি জানিয়েছেন, কোনও সামকিত ঘাঁটি নয়, সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। তবে কোনও পরিস্থিতিতেই ইউক্রেন আত্মসমর্পণ করবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলেনস্কি।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকভে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনার মধ্যে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, খারকভ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে ‘বড় ধরনের’ সাফল্য অর্জন করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অঞ্চলটির প্রায় ৩০টি জনবহুল এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভের বাহিনী।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বাজারে টান, ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে জারি আইনি নোটিস]
প্রবল প্রতি আক্রমণে পিছু হঠছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে ইজিউম বেখল হয়ে যাওয়ায় তাদের অস্বস্তিই যে কেবল বাড়ল তাই নয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই হারের বড় মূল্য চোকাতে হবে রাশিয়াকে। ইতিমধ্যেই ওই শহর ছেড়ে তারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের মজুত করা রসদের দখল নিচ্ছে জেলেনস্কির সেনা। হারের বদলা নিতে প্রত্যাঘাত করল মস্কো।