সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খনি দুর্নীতি মামলায় গভীর সংকটে পড়লেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। শুক্রবার তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিতে হবে। রাজ্যপালের কাছে এই সুপারিশ দিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে এর মধ্যেও স্বস্তির খবর রয়েছে জেএমএম নেতার জন্য। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হবে হেমন্তকে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভাকেও পদত্যাগ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে গেলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচনে জিতে আসতে হবে হেমন্তকে। তবে তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে জানিয়ে দিতে হবে, হেমন্তই দলের নেতা। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ জানার পরে টুইট করেছেন হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেছেন, “আমি ক্ষমতালোভী নই। তবে সাংবিধানিক পদগুলি ব্যবহার করে মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ভাবে প্রতিপক্ষরা পেরে উঠছে না বলেই এইভাবে হেনস্তা করছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি সিরিয়াল কিলার’, সরকার ভাঙানোর জল্পনার মধ্যেই গেরুয়া শিবিরকে তোপ কেজরির]
সোরেনের দল জেএমএমে’র জোটসঙ্গী কংগ্রেস জানিয়েছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন রাজ্যপাল। কংগ্রেস নেতা আলমগির আলমের কথায়, ”আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। উনি জানিয়েছেন, ওঁকে এখনও ওই রিপোর্টের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্যপালের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমরা আমাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।” তবে নতুন করে নির্বাচন হলে যে সোরেনকেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইবেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছে কংগ্রেস।
গত চারদিনে অনেক ‘নাটক’ প্রত্যক্ষ করেছে ঝাড়খণ্ড। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।