সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ফের নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি! পর পর পাঁচটি দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অস্বাভাবিক ভিড়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও কোনও অঘটন ঘটেনি। আগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ করায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। পরে রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নয়াদিল্লি স্টেশনে কোনও সমস্যা হয়নি।

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে মোট পাঁচটি ট্রেন নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরে ছাড়ে। শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস, স্বতন্ত্রতা সেনানি এক্সপ্রেস, জম্মু রাজধানী এক্সপ্রেস, লখনউ মেল এবং মগধ এক্সপ্রেস ছাড়তে দেরি হওয়ায় প্ল্যাটফর্মগুলিতে মানুষের ভিড় জমছিল। যার জেরে প্রায় পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কুম্ভমেলা চলাকালীন পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিতে জন্য পদক্ষেপ করে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু ট্রেন নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে রওনা দেওয়ার পরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মূল সমস্যাটি হয়েছিল নয়াদিল্লি স্টেশনের ১২ ও ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করায় অঘটন ঘটেনি। পরে রেলের তরফে দাবি করা হয়, দিল্লি স্টেশনে অত্যধিক ভিড় হয়েছিল বটে। তবে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে রেল জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিকই আছে।
উল্লেখ্য, কুম্ভ মেলা চলাকালীন এই নয়াদিল্লি স্টেশনেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। পুণ্যার্থীদের ভিড় অস্বাভাবিক রকম বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জন্য রেলের গাফিলতিকে দায়ী করা হয়। তবে রবিবারের ভিড় সফলভাবে সামলে দিল রেল।