সুব্রত বিশ্বাস: টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়ার রথতলা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। টাকা গুনতে ব্যাংক কর্মীদের ডাকেন ইডি আধিকারিকরা। রথতলার ফ্ল্যাটে মোট তিনটি টাকা গোনার যন্ত্র আনা হয়েছে।
বুধবার সকালে বেলঘরিয়ার রথতলার অভিজাত আবাসনে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে ব্লক ২ এবং ব্লক ৫-এ মোট দু’টি ফ্ল্যাট ছিল অর্পিতার (Arpita Mukherjee)। ফ্ল্যাট তালাবন্দি থাকায় সেখানে প্রথমে ঢুকতে পারেননি আধিকারিকরা। এরপর একজন চাবিওয়ালাকে ডাকা হয়। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে ভয় পেয়ে কার্যত ছুটে পালান তিনি। এরপর তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন আধিকারিকরা। বিকেলের দিকে প্রিন্টার হাতে উচ্চপদস্থ ইডি আধিকারিককে ঢুকতে দেখা যায়। তবে কি বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাটেও বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘মিনি ব্যাংকের মতো আমার বাড়ি ব্যবহার করতেন পার্থ’, বিস্ফোরক মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা]
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ধে ছ’টা নাগাদ রথতলার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার সন্ধান পান ইডি আধিকারিকরা। কত পরিমাণ টাকা রয়েছে, তা জানতে ব্যাংক আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। তিনটি টাকা গোনার মেশিন নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছন ব্যাংক আধিকারিকরা। কত পরিমাণ টাকা ওই ফ্ল্যাটবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। রথতলার ফ্ল্যাটে থাকা আলমারি, লকার খোলার চেষ্টাও চলছে।
উল্লেখ্য, এদিন সকাল থেকে বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় অর্পিতার পৈতৃক বাড়িতেও যান ইডি আধিকারিকরা। মাকে বাড়ি থেকে নিচে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তা নিয়ে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে অর্পিতার মায়ের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। কসবার ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্টে’র অফিসেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ৮ নম্বর ইস্ট বালিগঞ্জ প্লেসে মনোজ জৈন নামে জনৈক এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।