অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও তৎপর ইডি। এবার মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের দুই হিসাবরক্ষককে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী ১০ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, মহিষবাথানের অফিসে টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে ওই দু’জনকে তলব করা হয়েছে।
গত অক্টোবরে ইডি’র একাধিক টিম কলকাতার মোট আটটি কলেজ স্কোয়ার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, রাজাবাজার, মহিষবাথান, বারাসত, কৈখালি-সহ আটটি জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে বারাসতের দেবীপুরে মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বাড়ি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নিউটাউনের মহিষবাথান ও কলেজ স্কোয়ারে তাঁর দু’টি অফিস। সব জায়গায় শিক্ষক প্রশিক্ষণের ক্লাস নেওয়া হত বলে খবর। তল্লাশির পর দফায় দফায় তাপস মণ্ডলকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরাও দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের জন্মদিনে মন্দিরে পুজো, মসজিদে নমাজ ছাত্র-যুবদের]
গত ২ নভেম্বর, সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। বিএড, ডিএলএডে অফলাইন ভরতির টাকা মানিক পেতেন বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। তবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ভিতরেই সুরবদলও করেন তাপস। পরদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে তাঁর দাবি, টাকা পর্ষদে যেত। মানিক ভট্টাচার্য নিতেন কিনা, তা তিনি বলতে পারবেন না। কেন নিজের বয়ান বদল করলেন মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বারবার অভিযোগ করেছে, বিএড, ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ভরতির জন্য ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। ‘কাটমানি’ বাবদ তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল প্রায় আড়াই কোটি টাকা। টাকা দিয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৪০০ জন। সে কথা কার্যত স্বীকার করে নেন তাপস মণ্ডল। এবার ওই লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজেই তাপস মণ্ডলের দুই হিসাবরক্ষককে তলব করা হল। তাঁরা হাজিরা দেবেন কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি।