সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেলকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁর সঙ্গে ইকবাল মিরচির স্ত্রী হাজরার একটি সম্পত্তি চুক্তি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। সেই সূত্রেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষিত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ এই ইকবাল মিরচি আদতে মাদক পাচারকারী। ২০১৩-য় লন্ডনে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই পলাতক অপরাধীকে সাহায্য করেছিলেন প্যাটেল। ইডি সে বিষয়েই তদন্ত শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল প্যাটেল। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সমস্ত অনিয়ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছে এনসিপি।
[আরও পড়ুন: ফের মহারাষ্ট্রে ভেঙে পড়ল বহুতল, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে বহু]
চুক্তির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে মুম্বইয়ের ওরলির সিজে হাউসও। জানা গিয়েছে, এই সম্পত্তির মালিক ছিল ইকবাল মিরচির প্রথম স্ত্রী হাজরা মেমন। বাড়িটি ইকবাল মিরচির জমিতে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডির অভিযোগ, ২০০৫-এ সিজে হাউসের সংস্কার করেন প্রফুল প্যাটেল। সম্পত্তিটিকে ‘অপরাধের অংশ’ বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। মুম্বইয়ে ইকবাল মিরচির বিভিন্ন সম্পত্তি দেখাশোনা করত তার শ্যালক মুক্তার মেমন। তাকেও ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রফুল প্যাটেল বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং আসল প্রশ্ন হল, “সিজে হাউসের মালিকের সঙ্গে আমার যোগ আছে কি না। ১৯৭০-এ ওই জায়গায় বাড়িটি ছিল। আমার বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের ২১ জন শরিকের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। ১৯৭৮-এ সম্পত্তিটি দেখাশোনা করা এবং দায়িত্ব নিতে বলা হয় মুম্বই হাই কোর্টকে।” যদিও তাঁর যুক্তি মানছে না বিজেপি। প্রফুল প্যাটেলের দল এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে তারা। একজন পলাতক অপরাধীর সঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যোগাযোগের অভিযোগ তুলে তারা সরব হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে জোট গড়ে লড়াই করছে কংগ্রেস এবং এনসিপি।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে পাক গোলাবর্ষণ, অনন্তনাগে ভয়াবহ গুলির লড়াই]
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “একই কাগজে প্রফুল প্যাটেল এবং হাজরার স্বাক্ষর করার নথি রয়েছে। এর থেকে প্রমাণ হয়, তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চুক্তি ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রফুল প্যাটেলকে সোনিয়া গান্ধী কেন অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন?” প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনসিপি। তাদের দাবি, মালিকদের মধ্যে ঝামেলার কারণে ১৯৭৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সম্পত্তিটি ছিল আদালতের হেফাজতে।
The post দাউদ ঘনিষ্ঠের থেকে সম্পত্তি ক্রয়, প্রফুল প্যাটেলকে তলব ইডির appeared first on Sangbad Pratidin.