সুব্রত বিশ্বাস: সত্যি হল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের পরের দিনই কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
সূত্রের খবর, আগামী ২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি বিশেষ দল পাঠাচ্ছে বলেও খবর। কয়লা পাচারের যে ‘মানি ট্রেল’ বা আর্থিক লেনদেনের হদিশ ইডি পেয়েছে তা নিয়েই অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা, আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে তলব ইডির]
এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেক বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠেছেন। এটা চক্রান্ত। ওঁকে এজেন্সির মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে। এটা যে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত তা বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের কথায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অভিষেককে যে কতখানি ভয় পায় বিজেপি তা স্পষ্ট। ইস্পাত কঠিন স্নায়ু নিয়ে আইনি পথে লড়াই চালাবেন অভিষেক।”
এদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার মন্তব্য, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ডাকলে অপরাধীরা ভয় পাবে। অপরাধ না হলে ভয় কীসের? তার মানে এক্ষেত্রে অপরাধ হয়েছে। পুলিশ বা সিআইডি ডাকলে তা অরাজনৈতিক। আর কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলেই তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ কেমন কথা।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন কী হবে। সেজন্যই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আজকে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গেল।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গতকাল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে অভিষেককে নিশানা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সভাস্থলে মমতা বলেছিলেন, “বাংলায় সরকার ফেলার জন্যই একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ববিকে গ্রেপ্তার করো। অরূপকে গ্রেপ্তার করো, অভিষেককে গ্রেপ্তার করো। ভেবেছ, তাহলেই আর নির্বাচনে তৃণমূল জিততে পারবে না।” এরপরই সাধারণ মানুষের উদ্দেশে যোগ করেন, “এই তো আজ অভিষেক (Abhishek Banerjee) এত ভাল বক্তৃতা দিয়েছে। কাল ওকে না আবার নোটিস ধরায়। আগেও ওকে, ওর স্ত্রীকে (রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়) নোটিস ধরিয়েছে। কাল আবার ২ বছরের বাচ্চাটাইকেই না নোটিস দিয়ে বসে।”