ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজভবনের নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষাদপ্তরকে অন্ধকারে রেখে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেই অভিযোগ। নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ব্রাত্য বলেন, “এই চিঠির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। রাজ্যপাল আইনি পথে চলতে ভালবাসেন। ফলে আমরাও আইনি পরামর্শ দেখব। ইতিমধ্যেই আমরা আইনি পরামর্শ চেয়েছি। এক অর্থে এই চিঠি নৈতিকভাবে ঠিক নয়। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই স্বশাসিত। এখানে খুব অবাঞ্ছিত ঘটনা ছাড়া শিক্ষাদপ্তর খবরদারি করতে চায় না। রাজ্যপালকে বলব সম্মান রেখে এই চিঠিটা যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রাজভবনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক ‘বনাম’ নয়। প্রতিযোগিতার নয়। সহযোগিতার। একসঙ্গে নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে কাজ করব। উচ্চশিক্ষা দপ্তর কোনও দ্বৈরথে যেতে চায় না। এই চিঠির আইনি বৈধতা নিয়ে সংশয় আছে। এরকম চিঠির বিষয়ে আমি জানতাম না। আমরা জগদীপকে ধনকড়, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে দেখেছি যারা সোজা কথা সোজাভাবে বলেন। ভাসা ভাসা বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। একরকম অনুভব করে আরেকরকম বলা পাপ। যা বলতে পারেন এবং যা করতে চান তা খোলসা করে বলতে বা করতে পারেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এগুলো আখেরে কোনও কাজে দেয় না।”
[আরও পড়ুন: খুলেছিলেন বহু প্রতারকের মুখোশ, প্রয়াত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী আন্দোলনের পুরোধা প্রবীর ঘোষ]
রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি হয়। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ই-মেল মারফত রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। রাজ্যপালকে জানাতে হবে, গোটা সপ্তাহে কী কাজ হল। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পঠনপাঠন ও প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত রাজভবনের তরফেই নেওয়া হবে। এই ইস্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষামহলের নানা অংশে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত যে নয়া রূপ পেল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।