সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এই তৃণমূল আর নয়…।’ ‘ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল…!’ আগরতলায় বাবুল সুপ্রিয়র সভার মাঝেই বেজে উঠল এককালে তাঁরই গাওয়া গান। তার তাতেই কার্যত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির (BJP) থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে বিঁধে গান ধরেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। যেখানে ঘাসফুল শিবিরকে উৎখাত করার কথাই শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সেই গান। কিন্তু মাঝের সময়টায় বঙ্গ রাজনীতিতে অনেকটা জল গড়িয়ে গিয়েছে। বিজেপির এককালের বিশ্বস্ত সৈনিক সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করে বাংলার শাসক শিবিরের হাত ধরেছেন। তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকা। সেই বাবুলের মুখে আজ বিজেপি নিয়ে সমালোচনা শোনা যায় প্রতি মুহূর্তে।
তবে বিজেপির সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) তোপ দাগার নানা কিস্সা এখনও ভোলেননি বিরোধীরা। আর সেই স্মৃতিই শুক্রবার উসকে গেল ত্রিপুরার আগরতলায়। বাবুলের সভা মঞ্চের কাছাকাছি বেজে উঠল তাঁরই গাওয়া সেই গান। যাতে রাজনৈতিক সংঘাত নতুন মাত্রা পেল।
[আরও পড়ুন: TMC In Tripura: ত্রিপুরায় ফের ভোটপ্রচারে গিয়ে হেনস্তার শিকার তৃণমূল নেতা, কাঠগড়ায় বিজেপি]
ঘটনাটা ঠিক কী? আসলে গতকাল সন্ধেয় আগরতলায় তৃণমূলের (TMC) প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ও যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ। ঠিক সেই সময়ই মঞ্চের পাশের রাস্তা দিয়ে মাইক বাজিয়ে এগিয়ে যায় একটি ম্যাটাডোর। সেখান থেকেই ভেসে আসে বাবুলের সেই গান। ‘এই তৃণমূল আর নয়…।’ গান শুনে ক্ষুব্ধ সায়নী হাতের মাইক্রোফোন তুলে দেন বাবুলের হাতে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বাবুল বলে দেন, “ভেবে দেখুন, নেতারা কতখানি অহংকারি হলে, নিচুতলার নেতাদের সঙ্গে কতটা দুর্ব্যবহার করলে, এই গানটা যে ছেলেটা লিখেছিল, সেও আজ দল বদলে দিদির হাত ধরে তৃণমূলে চলে আসে।” এরপরই যোগ করেন, “আমি গানটা শুনছি না। আমি যা করি সেটা মন থেকে করি, তৃণমূলের জন্য আরও ভাল গান বানাব।” এ প্রসঙ্গে বিজেপির প্রতিক্রিয়া, বিজেপি যা খুশি গান বাজাতেই পারে। কিন্তু বাবুল যে নিজের গানই শুনতে চাইছেন না, এটাই হতাশাজনক।
আগরতলায় পুরভোটের প্রচারে প্রথমবার লড়তে চলেছে তৃণমূল। তাই বারবার আক্রমণ সত্ত্বেও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। কিন্তু তারই মধ্যে বিজেপির প্রচারের গাড়িতে বাবুলের গান অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বাবুলের।