সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়া। ভোটমুখী এই পাঁচ রাজ্যে এখনই সশরীরে জনসভা বা মিছিল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট ঘোষণার সময় জারি নিষেধাজ্ঞা আরও এক সপ্তাহ বজায় রাখল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে সশরীরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
গত ৮ জানুয়ারি এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেসময় কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra) জানিয়ে দেন, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল-বাইক র্যালি করা যাবে না। করা যাবে না কোনও জনসভা। ১৫ তারিখের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জনসভার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু বড় জনসভা নয়, পথসভা বা বাড়ি বাড়ি প্রচারেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও সভা বা পথসভা করা যাবে না। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে নিয়ে সর্বোচ্চ ৫ জন থাকতে পারবেন। কোনও প্রার্থী কোভিড বিধি ভাঙলে কড়া ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে।
[আরও পড়ুন: বঞ্চিত বাংলা! কেন্দ্রের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাদ রাজ্যের ‘নেতাজি’ থিমের ট্যাবলো]
কমিশনের দেওয়া সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শনিবারই শেষ হচ্ছে। কিন্তু ভোট ঘোষণার পর গত এক সপ্তাহে দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার তো দূরঅস্ত বরং অবনতি হয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৬৭ হাজার। ভোটমুখী রাজ্যগুলিতেও বাড়ছে সংক্রমণ। তাই বাধ্য হয়েই এই নিষেধাজ্ঞাগুলির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগের মতোই রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল এবং ভারচুয়াল মাধ্যমে প্রচারে জোর দিতে অনুরোধ করছে কমিশন। তবে, এদিন সামান্য স্বস্তি দিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলি এবার থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ জন নিয়ে ইন্ডোর মিটিং করতে পারবে। সেটাও হলের ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক নিয়ে করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: রেলের গার্ডদের নতুন নামকরণ, গালভরা তকমার মাঝেও অসন্তোষের কাঁটা]
কমিশনের এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বে বিরোধী দলগুলি। কারণ প্রকাশ্য জনসভার তুলনায় ভারচুয়াল জনসভায় খরচ অনেকটাই বেশি। আর এই মুহূর্তে কমবেশি সব বিরোধী দলই বিজেপির (BJP) থেকে আর্থিকভাবে পিছিয়ে আছে।