সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুশ গোলায় প্রাণ গেল এক মহিলা স্নাইপারের (Sniper)। তাঁকে খুঁজতে গিয়ে মৃত্যু হল ব্রাজিলের (Brazil) প্রাক্তন সেনাকর্মীরও। ৩০ জুন খারকভ শহরে আছড়ে পড়ে রুশ মিসাইল। সেখানেই মৃত্যু হয় সেই মহিলা স্নাইপারের। তিনি আবার শার্প শুটারও। ব্রাজিলীয় মডেলও বটে।
ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকভ (Kharkiv) শহরে আছড়ে পড়েছিল রুশ গোলা। এই হামলাতেই প্রাণ যায় স্নাইপার থালিতা দো ভালের (৩৯)। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরে থালিতার খোঁজ করতে বাঙ্কারে ফিরেছিলেন ব্রাজিলীয় সেনা ডগলাস বারজিও (৪০)। তখনই শহরে আছড়ে পড়ে রুশ গোলা। তাতেই প্রাণ যায় দু’জনের। এর আগে একবার বোমাবর্ষণ থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন থালিতা।
[আরও পড়ুন: হিন্দু মহাসভা নাকি তৃণমূল? শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে শুভেন্দু বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে প্রশ্ন]
উল্লেখ্য, এর আগেও থালিতা ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (ISIS) বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সেখানেই স্নাইপার হওয়ার প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ইরাকের স্বাধীন কুর্দিস্তানের সেনায় যোগ দিয়েছিলেন থালিতা। ইরাকে তাঁর লড়াইয়ের বিস্তারিত বিবরণ ছিল নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। সেই তথ্য নিয়ে লেখা হচ্ছিল বইও।
অল্প বয়সে থালিতা মডেলিংও করেছেন। করেছেন অভিনয়ও। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে পশুদের উদ্ধার করতেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান স্নাইপারের ভাই থিও রডরিগেজ ভিয়েরা জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে ছিলেন থালিতা। সেখানে যুদ্ধপীড়িতদের উদ্ধারের পাশাপাশি শার্প শুটার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও অংশ নিয়েছিলেন ব্রাজিলের এই মেয়ে।
[আরও পড়ুন: কালী পোস্টার বিতর্ক: মহুয়ার গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ, পুলিশকে আটদিন সময় দিলেন শুভেন্দু]
এর আগেও মৃত্যুর মুখ থেকে একবার ফিরে এসেছেন থালিতা। তার পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে মোবাইলেও বিশেষ যোগাযোগ করতে পারতেন না। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ড্রোনের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাত রুশ সেনা। তাই মাঝেমধ্যে ফোন করে জানিয়ে দিতেন তিনি নিরাপদেই আছেন। শেষবার ২৭ জুন পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলেও, ইউক্রেন থেকে আর বাড়ি ফেরা হল না থালিতার।