সুকুমার সরকার, ঢাকা: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই। বাংলাদেশে (Bangladesh) নিহত ২ কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত। শুক্রবার ভোরে হওয়া সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর পরিমাণের ইয়াবা মাদক।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা আশ্রয় পেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত কেন? প্রশ্ন বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের]
বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম জানান, টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার ভোরে নিরাপত্তারক্ষী ও ডাকাত দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ইতিমধ্যে নিহতদের পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হল টেকনাফ শরণার্থী শিবিরের কেফায়েত উল্লা ও কোরবান আলি ওরফে আঙুল কাটা শফিক। র্যাব আধিকারিক খাইরুল ইসলাম বলেন, “ভোরে ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হলে এই দুই রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত হয়। তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি।” ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি পিস্তল, একটি বন্দুক, একটি ম্যাগাজিন ও আটটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মানবিকতার খাতিরে প্রায় এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কিন্তু এবার আশ্রয়দাতাদেরই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে শরণার্থীদের এক বৃহৎ অংশ। রোহিঙ্গা শিবিরগুলি হয়ে ওঠেছে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি। রমরমিয়ে চলছে মাদক পাচার। এহেন পরিস্থিতিতে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়ালে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে রোহিঙ্গাদের হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
প্রসঙ্গত, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়েছে রোহিঙ্গারা (Rohingya) । শরণার্থী শিবিরে বসে তোলাবাজি-ডাকাতি, অস্ত্র ব্যবসা, কিশোরী-তরুণীদের দিয়ে হোটেলে নিয়ে দেহব্যবসা ও বিদেশে পাচার থেকে হেন কোনও অপকর্ম বাদ নেই তাদের। এদের জ্বালায় অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারাও। এহেন দস্যিপনার জন্য এবার তারা কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে গড়ে তুলেছে অস্ত্র তৈরির কারখানা। এবার তার সন্ধান পেয়েছে দেশের এলিট ফোর্স র্যাব। তারপর থেকেই অস্ত্র কারখানাগুলিতে অভিযান চলছে।