সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তে ফের তৎপর ইডি (ED)। কলকাতার তিন জায়গায় হানা আধিকারিকদের। গার্ডেনরিচ,পার্ক স্ট্রিটের ম্যাকলয়েড স্ট্রিট এবং মোমিনপুরে চলছে জোর ইডি প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ২ মহিলা-সহ চার সদস্য। তবে কী কারণে তল্লাশি অভিযান চলছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি’র তিনটি প্রতিনিধি দল সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরয়। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দুই মহিলা আধিকারিকও। প্রথমে পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের ৩৬ বাই ওয়ান এবং ৩৬ বাই ওয়ান টু’র একটি আবাসনে হানা দেন তাঁরা। সেখানে এক আইনজীবীর ফ্ল্যাটে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলছে তল্লাশি।
[আরও পড়ুন: নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাইয়ের উপর ‘হামলা’, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে]
ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের পাশাপাশি এদিন সাতসকালে গার্ডেনরিচেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে চলছে জোর তল্লাশি। মোমিনপুরে ১৪ নম্বর বিন্দুবাসিনী স্ট্রিটে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটেও অভিযান ইডি’র। বর্তমানে ওই বস্ত্র ব্যবসায়ী ফ্ল্যাটে নেই। ঠিক কী কারণে ম্যাকলয়েড স্ট্রিট এবং গার্ডেনরিচ এবং মোমিনপুরে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি প্রাক্তন মন্ত্রী ‘ঘনিষ্ঠে’র দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে। এছাড়া বিদেশি মুদ্রা, সোনার গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর নিয়োগ দুর্নীতিতে দু’জন মিডলম্যানও গ্রেপ্তার হয়। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এর আগে গত সোমবার ইডি আধিকারিকরা সোদপুরের রাজেন্দ্র পল্লিতে হানা দেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে যুক্ত সুব্রত মালাকারের বাড়ি ‘স্নেহদিয়া’য় পৌঁছন আধিকারিকরা। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না সুব্রত। সূত্রের খবর, স্ত্রীকে দিয়ে ফোন করে বাড়িতে ডেকে আনা হয় তাঁকে। এরপর শুরু হয় তল্লাশি। প্রায় সাত ঘণ্টা পর ওইদিন বেলা তিনটে নাগাদ গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রতকে।