সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কলেজে এবার পড়ানো হবে রামচরিত মানসও। নির্দিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি মহাভারত কিংবা রামচরিত মানসের মতো ধর্মগ্রন্থের পাঠও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সিলেবাসে। ২০২০ সালের নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে নয়া পাঠ্যসূচি। আর তাতেই এই সংযোজন। সেই নতুন পাঠ্যসূচিতে রামের চরিত্র বিশ্লেষণও রয়েছে। যার মধ্যে রামের (Lord Ram) পিতৃভক্তির পাশাপাশি রয়েছে তাঁর ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে’ দক্ষতার কথাও।
পরিবর্তিত সিলেবাসে পড়ুয়াদের পড়তে হবে ‘শ্রীরামচরিতমানসের ফলিত দর্শন’। থাকছে ‘ওম’ মন্ত্রোচ্চারণ ও যোগাভ্যাসের মতো বিষয়ও। সেই সঙ্গে চরিত্রের উন্নতি ঘটানো ও শক্তিশালী চরিত্র তৈরি করার বিষয়েও পড়ানো হবে। আর সেই সূত্রেই রয়েছে রামের প্রসঙ্গ। তাতেই বলা হয়েছে, রামসেতুর মতো এক সেতু নির্মাণ থেকে রামচন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে কলকাতার উড়ালপুলের ছবি, যোগীকে তুলোধোনা তৃণমূলের]
সি রাজাগোপালচারীর লেখা মহাভারতের ইংরেজি অনুবাদও রয়েছে সিলেবাসে। এছাড়াও ভারতীয় সংস্কৃতির শিকড় সন্ধানে অধ্যাত্মবাদ ও ধর্মের ভূমিকা পড়ানো হবে। সেই সঙ্গে বেদ, উপনিষদ, পুরাণ সম্পর্কেও পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। বোঝানো হবে রামচরিত মানস ও রামায়ণের পার্থক্যও।
এই সিলেবাস নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস বিধায়ক পিসি শর্মার কথায়, ”মহাভারত, গীতা, রামচরিতমানস শেখানো নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু বাইবেল, কোরান ও গুরু গ্রন্থসাহিবকেও এই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক, পড়ুয়াদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নতি ঘটাতে। কিন্তু ওরা এটা করবে না। কেননা তা ওদের আদর্শের সঙ্গে মানানসই নয়।”
প্রায় দেড় হাজার কলেজ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পরে কলেজ খুলেছে গত মাসে। তবে আপাতত ক্লাসরুমে অর্ধেক ছাত্রছাত্রী নিয়েই শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। এর মধ্যেই বিতর্ক শুরু সিলেবাস নিয়ে। এর আগে ২০১১ সালে স্কুলে গীতা পড়ানোর প্রস্তাব এনে সমালোচনার মুখে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। পরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।