shono
Advertisement

চোখে সানগ্লাস, হাতে ঝাড়ু! রামসেবায় বিভোর কঙ্গনা, মন্দির ধুয়ে সাফ অভিনেত্রীর, দেখুন ভিডিও

অযোধ্যায় হনুমান যজ্ঞে অংশও নিলেন কঙ্গনা রানাউত।
Posted: 02:50 PM Jan 21, 2024Updated: 03:51 PM Jan 21, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখে রোদচশমা। পরনে কাঞ্জিভরম। গা ভর্তি সোনার গয়না। হাতে ঝাড়ু নিয়ে জল দিয়ে মন্দির চত্বর ধুয়ে মুছে সাফ করছেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তবুও বলিউড অভিনেত্রীর আক্ষেপ, “যেমনভাবে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম, তেমনটা আর পারলাম কোথায়?”

Advertisement

রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার (Ram Mandir Consecration) দিন দুয়েক আগেই অযোধ্যায় অভিনেত্রী। শনিবার অযোধ্যায় পা রেখেই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলেন কঙ্গনা রানাউত। শুক্রবারই রামলালার মূর্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। আর তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অযোধ্যা নগরীতে (Ayodhya) পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী। রামজন্মভূমিতে পা দিয়েই বলিউডের ‘মনিকর্ণিকা’র মন্তব্য, “নিশ্চয় পূর্বজন্মে কোনও পুণ্য করেছিলাম। তাই এমন সুযোগ পেলাম।” পাশাপাশি অযোধ্যাকে দেবলোকের আখ্যাও দিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।

রবিবার হনুমানগড়ি মন্দির ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করেন কঙ্গনা। সেই কাজ সেরেই অভিনেত্রীর মন্তব্য, “ইতিমধ্যেই এখানে এত ভিড় হয়েছে যে, যেভাবে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম, সেটা পারলাম না। গোটা অযোধ্যা ফুলের সাজে সেজে উঠেছে। মনে হচ্ছে যেন, রামজন্মভূমি সত্যিই দেবলোকে পরিণত হয়েছে।”

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের ভ্যাটিক্যান সিটি’, অযোধ্যায় পা দিয়েই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা ‘রামভক্ত’ কঙ্গনার]

রবিবার হনুমানগড়ি মন্দির ধোয়ার পরই তিনি ধর্মগুরু জগৎগুরু রামানন্দচার্য স্বামী রামভদ্রচার্যের সঙ্গেও দেখা করলেন। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে হনুমান যজ্ঞেও অংশ নিলেন কঙ্গনা রানাউত। শাড়ি সামলেই যজ্ঞাহূতি দিতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে। সেই মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে কঙ্গনা লিখলেন, “দীর্ঘ নির্বাসনের পর সোমবার অযোধ্যার রাজা ফিরছেন। এসো রাম, এসো।”

শুক্রবার রামমন্দির (Ram Lala Idol) থেকে কষ্টিপাথরের মূর্তির ছবি প্রকাশ্যে আসতেই, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। তাঁর শৈশবের কাল্পনিক রামলালার সঙ্গে নাকি মন্দিরের ‘মর্যাদা পুরুষোত্তমে’র মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি। আর শনিবার অযোধ্যা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বললেন, “যাঁরা রামজন্মভূমিতে আসবেন, তাঁদের পুণ্য হবে। এটাই আমাদের দেশের সবথেকে বড় তীর্থক্ষেত্র। ঠিক যেমন ভ্যাটিক্যান সিটি। অযোধ্যা ধাম আমাদের সকলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভাগ্যবান যে ভগবান শ্রীরাম এখানে তাঁকে পুজো দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আবার এরকম মুর্খ লোকেরাও রয়েছে, যারা এখানে আসবে না। ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সঙ্গেই রাম রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হবে।”

[আরও পড়ুন: ‘রাম কে নাম’ বড় অনুদান অক্ষয়-হেমা মালিনীর, মন্দিরে ইট দিয়েছেন অনুপম, কে কত দিলেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement