সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফতোয়া ছিল মুসলিম নেতার। কেউ তাঁর মাথা কামালে দশ লক্ষ টাকা ইনাম দেওয়া হবে। নজিরবিহীনভাবে নিজেই মাথা কামিয়ে সে ফতোয়ার জবাব দিলেন সোনু নিগম। আজান নিয়ে টুইট বিতর্কে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের মতামত জানান তিনি। জানিয়ে দিলেন, কাউকে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি কোনও ধর্মীয় ব্যাপারেও মতামত দেননি। একটি সামাজিক বিষয়ে তাঁর মত জানিয়েছিলেন মাত্র। তবু যখন ফতোয়া জারি হয়েছে, তখন মাথা কামানোরই সিদ্ধান্ত তাঁর। ফতোয়ার এমন মোক্ষম জবাব সম্ভবত এর আগে কেউ কোনওদিন দেননি।
[ সোনুর মাথা কামিয়ে জুতোর মালা পরালে ইনাম ১০ লক্ষ টাকা, ফতোয়া মৌলবীর ]
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সোনু জানান, তিনি কখনওই মহম্মদকে অপমান করতে চাননি। তাঁর টুইটে মন্দির ও গুরুদ্বারের কথাও ছিল। কিন্তু সে কথা সামনে না এসে শুধু আজানের কথাই সামনে আনা হয়েছে। আগে টুইট করে জানিয়েছিলেন, এবার নিজের মুখে জানালেন, তিনি ইসলাম বিরোধী নন। তিনি শুধু জানাতে চেয়েছিলেন, লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোনও ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা নয়। আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে তা করা হয় না। তাঁর দাবি, তিনি সাধারণ একটি বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তা নিয়ে অনর্থক জটিলতা তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সেরকমই তিনি একটি বিষয়ে মতামত জানিয়েছিলেন।
[ পারলে সতীদাহও ফিরিয়ে আনুক হিন্দুরা, ব্যঙ্গ আজম খানের ]
তাঁর এই মন্তব্যের জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গের এক মুসলিম সংগঠন। সোনুর মাথা কামিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে দেশ ঘোরালে ১০ লক্ষ টাকা ইনামের ফতোয়া জারি করা হয়েছে। এদিন সোনুর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানান, তিনি হিন্দু এবং একজন মুসলিমই তাঁর মাথা কামাবে। কিন্তু সেটা ভালবাসার সঙ্গেই করা যায়। তার জন্য ফতোয়ার দরকার নেই।
অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই কি সোনুর এই অবস্থান? সব বুঝেশুনেই কি তিনি এই সময়টা টুইট করার জন্য বেছে নিয়েছেন? সোনুর বক্তব্য, সেরকম কিছু নেই। তাঁর একটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার ছিল, তাই-ই করেছেন। এর পিছনে কোনও অভিসন্ধি নেই।
সোনুর এই নজিরবিহীন জবাবে উঠছে পাল্টা প্রশ্নও। যে সংগঠন এই ফতোয়া জারি করেছিল, তারা এবার টাকা দেবে তো, প্রশ্ন নেটিজেনদের। ফতোয়া জারির সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া দরকার বলেও মত অনেকের।
The post মাথা কামিয়ে মৌলবীর ফতোয়ার ‘যোগ্য’ জবাব সোনুর appeared first on Sangbad Pratidin.