সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাষা বিতর্কের পর এবার দ্য কেরালা স্টোরি। ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উলটো সুর শোনা গেল চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্নর মুখে। তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসাবে পরিচিত শুভাপ্রসন্ন সরাসরি বলে দিচ্ছেন, মমতার এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেন। নবান্ন থেকে তিনি বলে দেন, “এই কেরালা স্টোরি, কাশ্মীর ফাইলস কিছু মানুষকে অসম্মান করার জন্যই তৈরি হয়। এখানে কোনও ঘৃণা চলবে না। কোনও রাজনৈতিক, জাতিগত ঘৃণাকে আমরা প্রোমোট করব না।’ বাংলাই প্রথম রাজ্য হিসাবে এই ছবিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যা নিয়ে এরাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা মোটামুটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মমতার পর এবার নবীন পট্টনায়েকের দ্বারস্থ নীতীশ কুমার, দ্রুত দিল্লিতে মহাজোটের বৈঠক!]
কৌশিক সেনদের মতো তথাকথিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী সরাসরি রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছেন, তেমনই উলটো মতও পোষণ করেছেন অনেকে। সেই তালিকায় চমকপ্রদভাবে নাম রয়েছে শুভাপ্রসন্নর। তিনি মনে করছেন, এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অহেতুক ছবিটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন,”এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক সুবিধা দেবে না। বরং নিষিদ্ধ করে ছবিটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হল।” একই সুরে নাট্যব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুমন মুখোপাধ্যায়েরাও মমতার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরাও বলছেন, অহেতুক এই ছবিকে গুরুত্ব দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: সিগন্যালে দাঁড়াতে বলার ‘শাস্তি’, ট্রাফিক পুলিশকে বনেটে তুলে আধ কিলোমিটার ছুটল গাড়ি!]
শুভাপ্রসন্ন বেশ কিছুদিন ধরেই ‘বেসুরো’। এর আগে ভাষা দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই চিত্রশিল্পী বলেন, “বাংলা ভাষার উচ্চারণ, বাংলা ভাষার তাৎপর্য, বাংলার ভাষার বৈশিষ্ট্য থেকে আমরা সরে আসছি। যে শব্দগুলোকে আমরা কখনও বাংলা বলি না, ভাবি না, সেই শব্দ এখন বাংলা ভাষায় ঢুকছে। আমরা কোনও দিন বাংলা ভাষায় পানি ব্যবহার করি না। আমরা কোনও দিন কখনও দাওয়াত দিই না। সুতরাং, ভাবতে হবে কোন ভাষা আমাদের ভাষা।” শুভাপ্রসন্নর সেই বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীকালে বাংলার রাজনৈতিক তথা সাংস্কৃতিক মহলে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে।