সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ান দখল করতে মরিয়া চিন (China)। যে কোনওভাবে দ্বীপরাষ্ট্রটির স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এহেন সময়ে বেজিংয়ের উদ্বেগ বাড়িয়ে তাইপেই পৌঁছল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল।
[আরও পড়ুন: নজরে চিনের কার্যকলাপ, তাইওয়ান প্রণালীতে টহলদারি মার্কিন যুদ্ধজাহাজের]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে বুধবার সেখানে পৌঁছেছেন ইউরোপের দেশগুলির প্রতিনিধিরা। সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রান্সের এমইপি রাফায়েল গ্লুকসমান। লক্ষণীয় ভাবে, চিনের অত্যন্ত কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত গ্লুকসমান। তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে বেজিং। তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, তিনদিনের সফরকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইইউ প্রতিনিধি দলের এটাই প্রথম সরকারি তাইওয়ান সফর। বিশ্লেষকদের মতে, চিনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দ্বীপরাষ্ট্রটির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই এই সফর।
এদিকে, এই ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সফর যে চিন ভাল চোখে দেখছে না তা স্পষ্ট। আগেই ব্রাসেলসে চিনা দূতাবাস সাফ জানিয়েছিল যে ইইউ সাংসরা তাইওয়ান সফরে গেলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে এদিনের সফর নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন । তবে বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। তারপর থেকেই আরও সতর্ক হয়ে গিয়েছে দেশটি। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সবমিলিয়ে, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও চিনের সংঘাত তুঙ্গে।