সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবে চলে যাওয়া! মেনে নিতে পারছেন না কেউ। বিশ্বাসও হয়নি কারও কারও। কিন্তু এবার বিশ্বাস না করার আর কোনও কারণ নেই। শনিবার গভীর রাতে সদ্যপ্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের কফিনবন্দি দেহ গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামার পর 'অবিশ্বাসী' অনুরাগীরা স্তম্ভিত হয়ে দেখলেন সেই দৃশ্য। অকস্মাৎ জীবন থেকে চলে গিয়েছেন প্রিয়তম। স্বামীর সেই কফিন আঁকড়ে ধরে কেঁদে উঠলেন স্ত্রী গরিমা সইকিয়া গর্গ। সে কান্না থামার নয়। শুধু গরিমা নয়, চোখে জল আরও অনেকের। রাতের আঁধারে হয়ত তা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। রবিবার ভোরে জুবিন গর্গের দেহ বিমানবন্দর থেকে বেরতেই গুয়াহাটির রাস্তায় জনঢল। ছোট-বড় সঙ্গীতানুরাগীরা একবার শেষ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না।
গত শুক্রবার দুপুরে সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে আকস্মিক মৃত্যু হয় খ্যাতনামা গায়ক, অসমের ভূমিপুত্র বছর বাহান্নর জুবিন গর্গের। খবর দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়তেই নিমেষে শোকের ছায়া নেমে আসে সঙ্গীত জগতে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শোকসংবাদ পাওয়ার পর সে রাজ্যে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। গায়কের মৃত্যু ঠিক কী কারণে, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চেয়েছেন। ভূমিপুত্রের শেষযাত্রার সূচিও স্থির করে দেন তিনি।
গুয়াহাটির রাস্তায় প্রিয় গায়কের শেষযাত্রায় অগনিত অনুরাগীর ভিড়। ছবি: পিটিআই।
শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে জুবিনের দেহ পৌঁছনোর পর সেখানেই শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রবিবার ভোরে গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে দেহ পৌঁছয় অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সেখানে জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দেহ রাখা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে তা শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে শ্রদ্ধা অর্পণ। তারপর শেষকৃত্য। চিরবিদায় নেবেন গায়ক, রেখে যাবেন অঢেল গানের ডালি। শিল্পী জীবন তো এমনই। শিল্পীর মৃত্যু হয়, শিল্প থেকে যায় অমর।
