সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশন (Parliament Monsoon session) চলাকালীন কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতা জোরদার করার কর্মসূচি নিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। এবার তারই চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির করে দিল্লি পুলিশের অনুমতি চাইল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। জানা গিয়েছে, সংসদ অধিবেশন চলাকালীন প্রত্যেক দিন সংসদ ভবন ঘেরাও করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলবে কৃষকদের (Farmers’ Protest)। প্রতিদিন ২০০ জন করে কৃষক থাকবেন অবস্থানে। এমনই জানানো হয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে। পাশাপাশি এই আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম অশান্তি বা হিংসার পথে হাঁটবেন না অবস্থানরত কৃষকরা।
গত বছর থেকেই কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের (Farm laws) প্রতিবাদে রাজধানীর মাটিতে বিরোধিতার আঁচ বাড়িয়েছেন কৃষকরা। আইনটি কৃষকবিরোধী, এই অভিযোগে তা প্রত্যাহারের দাবিতে টানা প্রতিবাদে শামিল তাঁরা। রাজধানীর সীমানা আটকে সেখানেই দিনের পর দিন অবস্থান করেন। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরও সমাধান সূত্র বেরয়নি। তবে তাতেও হাল ছাড়েননি কৃষকরা। বিভিন্ন কৃষক সংগঠন সমবেত হয়ে তৈরি করেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha)। আন্দোলন আরও গতি পেয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এবার সংসদের বাদল অধিবেশনে নিজেদের প্রতিবাদ তুলে ধরতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন তাঁরা। তা জেনেই অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সকলকে অবগত করেছে সরকারপক্ষ। এমনকী সংসদ ভবন সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বৃ্দ্ধির জন্য দিল্লি (Delhi) পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: টার্গেট Tripura, বাংলার স্ট্র্যাটেজি মেনেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন পিকে, আগস্টে যাচ্ছেন Abhishek]
সোমবার নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনে অনুমতি নিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করে দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে। ঠিক হয়েছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ থেকে কৃষকরা শামিল হবেন দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচিতে। প্রতিদিন ২০০ জন করে কৃষক অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন। কারা কবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, তার বিস্তারিত তালিকা দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait)। সেইসঙ্গে নিজেদের দাবিপত্র। এতে রাকেশ টিকাইত ছাড়াও স্বাক্ষর রয়েছে কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল, যোগেন্দ্র যাদব, হান্নান মোল্লার। পুলিশের অনুমতি মিললে মঙ্গলবার থেকেই হয়তো দিল্লির রাজপথে অবস্থানরত কৃষকদের সেই পুরনো ছবি ফিরে আসবে সংসদ ভবনের সামনে।