shono
Advertisement

কলেজিয়াম বিতর্কে আইনমন্ত্রীকে কটাক্ষ প্রাক্তন সুপ্রিম বিচারপতির, নাম না করে খোঁচা ধনখড়কেও

বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
Posted: 12:46 PM Jan 28, 2023Updated: 12:46 PM Jan 28, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজিয়াম বিতর্কে কেন্দ্র এবং বিচারব্যবস্থার বিবাদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) কটাক্ষ করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ খনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এবার তাঁকে নাম না করে খোঁচা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রোহিংটন ফালি নরিম্যান। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকেও আক্রমণ করেন তিনি। মনে করিয়ে দিলেন, আদালতের রায় তিনি মানতে বাধ্য, তা ঠিক বা ভুল যাই মনে হোক না কেন।

Advertisement

একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়। আসলে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে বয়ান দিতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রকে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা হতাশাজনক।

[আরও পড়ুন: ‘লাদাখে গণতন্ত্র নেই, আমাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে’, বিস্ফোরক দাবি সোনম ওয়াংচুকের]

এদিন সেই প্রসঙ্গেই নরিম্যানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা শুনেছি এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে আইনমন্ত্রী কী ধরনের আপত্তিকর কথা বলেছেন।” তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ”একজন নাগরিক হিসেবে আমি সমালোচনা করতে পারি। কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি এখন শুধুই নাগরিক। আপনি কর্তৃপক্ষ। আর কর্তৃপক্ষ হিসেবে আপনি রায় মেনে নিতে বাধ্য, সেটা ভুল হোক বা ঠিক।”

এরই পাশাপাশি নাম না করে তিনি খোঁচা দেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কেও। প্রসঙ্গত, ধনখড় কলেজিয়াম বিতর্ক নিয়ে অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। কারণ সংসদের সিদ্ধান্তে মানুষের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন মূল পরিকাঠামো নিয়েই। যার জবাবে তাঁকে এদিন নরিম্যান বলেন, ওই পরিকাঠামোই কিন্তু বজায় থাকবে। তাঁর কথায়, ”ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, এটা বজায় থাকছে।” পাশাপাশি কেন্দ্র যেভাবে কলেজিয়ামের সুপারিশগুলির বিবেচনায় বিলম্ব করছে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর প্রস্তাব, এবার থেকে এই বিষয়ে ৩০ দিনের ডেডলাইনকে বিবেচনা করা হোক। তার মধ্যে সাড়া না দিলে নিজে নিজেই সেই সুপারিশগুলি গৃহীত হয়ে যাবে।

[আরও পড়ুন: জিটিএ-তে ভাঙন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে বেরতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি মোর্চার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement