সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন দস্যু রত্নাকরের নবজন্মের পুনর্নিমাণ। ভয়ংকর খুনে ডাকাত রক্তাকর হয়ে উঠেছিলেন আদিকবি বাল্মিকী। রচনা করেছিলেন রামায়ণ। আর এযুগে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিপজ্জনক জঙ্গি হয়ে উঠলেন দেশপ্রেমী। জানিয়ে দিলেন, তিনি তাঁর প্রাণ উৎসর্গ করতে চান দেশকে। সাধারণতন্ত্র দিবসে সেই জঙ্গি, শের খানকে দেখা গেল নিজের বাড়িতে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে।
একদা হুজি অর্থাৎ হরকত-উল-জেহাদ-উল-ইসলামি জঙ্গি দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে জঙ্গি (Terrorist) হিসেবে নিজের জেলায় রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ধরা পড়ে প্রায় ১৩ বছর কাটাতে হয় জেলে। ২০১৯ সালে শেষ পর্যন্ত ছাড়া পান তিনি। এরপর বদলে যায় জীবন। সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন তিনি। বুঝতে পারেন নিজের ভুল। ঠিক সিনেমার মতোই নাটকীয় পরিবর্তন আসে শের খানের জীবনের।
[আরও পড়ুন: এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে সুখবর ইস্টবেঙ্গলে, ট্রান্সফার ব্যান তুলে নিল FIFA]
এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্ত্রী শাহিনা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া ও খলিফা বানোর সঙ্গে থাকেন শের খান। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই উত্তোলন করলেন জাতীয় পতাকা। এই প্রথমবার। এর আগে কী করতেন? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”তিন বছর আগে জেল থেকে ছাড়া পাই। এরপর থেকেই মুঘল ময়দানে যেতাম সাধারণতন্ত্র দিবসে।” এবার আর অন্য কোথাও নয়, বাড়িতেই তিনি পালন করলেন সাধারণতন্ত্র দিবস।
শের খানের প্রথম স্ত্রী পরভিনা ও ২০ বছরের ছেলে মুসাফির তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। জীবনের সেই অধ্যায়ের কথা ভাবলে এখনও বিষণ্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। দাবি করেন, কেবল নিজের জীবনই নয়, তাঁর পরিবারও ধ্বংস করে দিয়েছেন তিনি নিজেই। এবার তাই নতুন করে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসা। দেশকে ভালবেসে জীবনটা এবার কাটাতে চান শের খান।