shono
Advertisement

Breaking News

শিক্ষা দুর্নীতি থেকে রবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে আইনি যুদ্ধ, সব নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় চন্দন

আমিরের 'রং দে বাসন্তী'তে ছোট্ট একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তারকাকে। জানালেন সেই অভিজ্ঞতাও।
Posted: 03:23 PM Mar 18, 2024Updated: 03:23 PM Mar 18, 2024

দিল্লির বাঙালি ছেলে। সিনেমার থেকে নাটকের প্রতি টান বেশি। শিরায় শিরায় অভিনয়। সেই অভিনয়ের জোরেই টলিউড-বলিউডের তুরুপের তাস চন্দন রায় সান্যাল (Chandan Roy Sanyal)। ‘ডিজনি প্লাস হটস্টার’ প্ল্যাটফর্মের ‘পাটনা শুক্লা’য় রবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে আইনি যুদ্ধে দেখা যাবে তারকাকে। ছবির মুক্তির আগে সুপর্ণা মজুমদারের মুখোমুখি হয়ে বললেন নানা কথা।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে আপনাকে স্বাগত। কেমন আছেন?
আমি খুব ভালো আছি গো। খুবই ভালো। সব ঠিক চলছে।

প্রথমেই সিনেমার নামে আসা যাক। ‘পাটনা শুক্লা’, এমন নাম কেন?
এটা সবচেয়ে ভালো পরিচালক বলতে পারবেন। তবে আমার মনে হয়, এই ছবিটা সেই নারীর যিনি গোটা সিস্টেমের সঙ্গে লড়াই করছেন ন্যায়ের জন্য। আর এই সমস্ত ঘটনা পাটনাতে হচ্ছে। তাই আমার মনে হয়, ওই সব মিলিয়ে গল্পটা নিয়ে নাম হয়ে গিয়েছে ‘পাটনা শুক্লা’।

রবিনা ট্যান্ডনের (তনভি) বিরুদ্ধে লড়াই সেই অভিজ্ঞতা কেমন?
খুবই অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ আমি তো ছোটবেলা থেকে ওনার সিনেমা দেখে বড় হয়েছি সে ‘মোহরা’ বলো বা ‘পাত্থর কে ফুল বলো’। ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ আমার পছন্দের সিনেমার মধ্যে একটা। দিল্লিতে বড় হয়েছি বাঙালি পরিবারের ছেলে, পড়াশোনা করেছি, অঙ্কে অনার্স ছিল, থিয়েটার করতাম। আমি তো কখনও ভাবিনি এরকমভাবে অভিনয় করব আর সিনে তিনি আমার মুখোমুখি থাকবেন। তো এটা বলা যেতে পারে যে জীবন তোমায় যে কোনও সময় সারপ্রাইজ করতে পারে। আর এটা খুবই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল বলতে পারি।

বেশিরভাগ কোর্টরুম দৃশ্য। মনোলগ নিশ্চই বেশি ছিল…
মনোলগ অনেক আছে। অনেক ডায়লগবাজি আছে। পাঁচ-পাঁচ পেজের সিন ছিল। রবিনাজি কিছু বলতে যাচ্ছেন, আমি কিছু বলছি, বিচারপতি কিছু বলছেন। হ্যা, রিহার্সাল আমরা খুব করতাম। আর ভালোভাবেই সিনগুলো নামাতে পেরেছি।

[আরও পড়ুন: লাল শাড়িতে ভয়ংকর কৌশিক, আসছে নতুন সিরিয়াল ‘অষ্টমী’, নায়ক-নায়িকা কে?]

অঙ্ক নিয়ে স্নাতক। তার পর অভিনয়ে চলে এলেন? কীভাবে?
আমি আসলে যখন স্কুলে ছিলাম। দুর্গাপুজোয় অভিনয় করতাম, স্কুলেও করতাম। সবাই বলতো ভালো করছো। তার পর কলেজে নাটক করতে শুরু করলাম। দিল্লিতে ড্রামা সোসাইটি ছিল। তাদের সঙ্গে কাজ করতাম। বেশিরভাগ সময় হিন্দু কলেজে পড়ে থাকতাম। অন্যান্য কলেজেও যেতাম। করতে করতে নেশা হয়ে গেল। ছাড়তে পারলাম না। নাটক করলাম দেশ-বিদেশে। বেসিকালি নাটকের শখ বেশি ছিল। সিনেমায় নামব ভাবিনি।

তাহলে সিনেমায় কীভাবে?
আসলে বিশাল ভরদ্বাজ ‘কামিনে’ করছিল। ওনার ‘ওমকারা’, ‘মকবুল’ খুব ভালো লেগেছিল। ভাবলাম, সিনেমা করলে এমন লোকের সঙ্গে করব। ওনার কাস্টিং ডিরেক্টর ডাকেন। বলেন সিলেক্টেড হয়ে গিয়েছি। ব্যস! তবে আমি নাটকই বেশি করতে চেয়েছি।

‘রং দে বাসন্তী’তেও ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন?
‘রং দে বাসন্তী’ আসলে একটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। তখন আমি কলেজে পড়তাম। মাস অডিশন হচ্ছিল। আমিও গিয়ে অডিশন দিলাম। তো ওরা একটা রোল ধরিয়ে দিল। খুবই ছোট্ট চরিত্র ছিল। বটুকেশ্বর দত্ত। কাজের থেকেও বেশি ওটা একটা অভিজ্ঞতা ছিল। প্রায় দুমাস সেটে গিয়েছিলাম। দেখতাম ওয়াহিদা রহমান, আমির খান, আরও বড় বড় অভিনেতা, সোহা আলি খান সবাই আসতেন। দূর থেকে দাঁড়িয়ে শুধু ওদের অভিনয় দেখতাম আমি।

তখন আমি মঞ্চেও অভিনয় করছিলাম। ওই করতে করতে তখন আমি ইংল্যান্ড চলে যাই
থিয়েটার করতে। আমি সিনেমা নিয়ে তখন খুব উৎসাহী ছিলাম না, তখন থিয়েটার নিয়ে টান ছিল। আমার তখন এক্সাইটমেন্ট ছিল যে আমি নাটক করতে লন্ডন যাচ্ছি, ‘রং দে বাসন্তী’ নিয়ে অত এক্সসাইটমেন্ট ছিল না। তবে দেখতাম ওয়াহিদা রহমান অভিনয় করছেন। আমির খান একটা খবরের কাগজ আর কফি নিয়ে সেটে আসতেন। ভ্যানিটি ভ্যানের সামনে বসে থাকতেন। সেটা একটা অভিজ্ঞতা ছিল।

এই সিনেমায় আরেকজনের নাম করতেই হয়। সতীশ কৌশিক। এমন মানুষের চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। শেষ স্মৃতি কোনটা?
শেষ ওনার সঙ্গে দেখা হয়। ডিসেম্বরে ওনার বাড়িতে একটা পার্টি ছিল। সবাই এসেছিলেন সলমন খান, আরবাজ খান, সবাই এসেছিলেন। খাওয়া-দাওয়া, হট্টগোল, সিনেমা নিয়ে গল্প।নতুন বছরের কয়েকদিন পরেই তো চলে গেলেন।

শিক্ষা দুর্নীতি কিন্তু একটা বড় সমস্যা। এ রাজ্যেও এমন অভিযোগ উঠেছে। কী বলবেন?
আমাদের দেশে তো অনেক কিছু নিয়েই স্ক্যাম হয়। লকডাউনে হয়তো মাস্ক নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। দাম বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, আমদের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা জানি যে এটা হতেই পারে। সিনেমা তো একটা ক্ষমতাশালী মিডিয়াম, তাই ছবির মাধ্যমে বলা হয়েছে যে এমন হলে কী করা যেতে পারে। আসলে, আমরা তো নিজেদের মৌলিক অধিকার জানি না। আমাদের মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান আমাদের অনেক রকমভাবে রক্ষা করে। ওই জিনিসটা নিয়ে দেখানো হয়েছে। এরকম অনেক হয়।

আপনার সঙ্গে শেষ কোন সময় এমন হয়েছে, পরীক্ষা দিয়েছেন কিন্তু মনের মতো রেজাল্ট পাননি…
জীবনের পরীক্ষায় তো এমন হতেই থাকে। এটা হলে খারাপও লাগে যে আমার কেন হল না। আমার সঙ্গে এমন কেন হচ্ছে। কিন্তু জীবন এটাই শেখায় যে তুমি নিজের পরীক্ষা দিয়ে যাও। সবমিলিয়ে, ‘নেকি কর, দরিয়া মে ডাল।’

[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা-মালতীর জন্য ভারতে নিক, বউ-মেয়েকে ছাড়া থাকতেই পারছেন না ‘পরদেশী’ জামাই? ]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement