তাঁর ছবি ‘দে দে পেয়ার দে’ হিট। বলিউডের নতুন সুন্দরী রকুল প্রীত সিং– এর সঙ্গে আড্ডায় অহনা ভট্টাচার্য।
‘দে দে পেয়ার দে’ ফিল্মে নিজের দ্বিগুণ বয়সি একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বাস্তবে এই বয়সি কাউকে ভাল লাগলে এগোবেন?
– আমার তো কাউকে ভালই লাগে না! আগে কাউকে মনে ধরুক, তারপর অন্য কথা ভাবব। এমনকী, কারও উপর ক্রাশও নেই। আমি এখন সিঙ্গল। আই অ্যাম ডায়িং টু হ্যাভ আ ক্রাশ!
কী রকম ছেলে আপনার পছন্দ?
– প্রথমেই বলি, আমার পছন্দের মানুষকে অনেক লম্বা হতে হবে, অন্তত ছ’ফুট। একে আমি লম্বা, তারপর হিল পরি। আমি হিল পরে দাঁড়িয়েও যেন মাথা উঁচু করে তার দিকে তাকাতে পারি, এতটা লম্বা হতেই হবে। মাথা নিচু করে তাকাতে হলে সেটা ভাল দেখাবে না। এখানেই নব্বই শতাংশ ছেলে বাতিল হয়ে যায়। কারণ, তারা অত লম্বা নয়।
শুধুই উচ্চতা? আমাদের দেশে কি ছ’ফুট লম্বা ছেলের অভাব আছে?
– না না, তা কেন? তবে অন্যদিকগুলোও দেখতে হবে। যেমন ধরুন কোনও লম্বা ছেলেকে আমার পছন্দ হল। কিন্তু, সে যে সিঙ্গল, এমন গ্যারান্টি দিতে পারবেন? আবার এমন কাউকে হয়তো পছন্দ হল, যে আমার সঙ্গে সহজে মিশতে পারছে না। সে ক্ষেত্রেও তারা বাতিল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: “কলকাতা বললেই খাবারের গন্ধ পাই”, বললেন একতা কাপুরের ‘বেকাবু’ নায়িকা প্রিয়া]
আচ্ছা ধরুন, একজন মানুষ যাঁর বয়স পঞ্চাশের উপর। আপনার তাঁকে সব দিক দিয়ে পছন্দ হল, তা হলে কি শুধুমাত্র বয়সের কারণে পিছিয়ে যাবেন?
– কখনওই না! আমি অন্তত কাউকে বয়সের মতো তুচ্ছ কারণে বিচার করি না। আমি সত্যিকারের ভালবাসায় বিশ্বাসী। আর সেটা শুধুমাত্র দুটো মানুষের মন থেকেই হয়। দুটো মানুষ যদি একে অপরের সঙ্গে সুখী থাকে, তাদের বয়স যা-ই হোক না কেন, তাতে অন্য কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। অসমবয়সি দুটো মানুষ একে অপরের সঙ্গে সুখী আছে, এটা বেশি ভাল? না কি সমবয়সি একটা কাপল যারা রোজ নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করছে বা একে অপরকে ঠকাচ্ছে?
আপনার পরিচিতদের মধ্যে এ রকম কেউ আছেন?
– হ্যাঁ। আমার এক বন্ধুর স্বামীও ওর বাবার চেয়ে এক বছরের বড়। ওরা কিন্তু খুব সুখী। আমার আরও কয়েকজন বন্ধু আছে যাদের স্বামীরা তাদের চেয়ে বেশ খানিকটা বড়।
আপনার কখনও বয়সে বড় কাউকে মনে ধরেনি?
– একজনের ওপর ক্রাশ ছিল। সে আমার চেয়ে সাত বছরের বড়। কিন্তু সেটা শুধু ক্রাশ, সম্পর্ক বলা চলে না।
আপনি তামিল আর তেলুগু ছবিতে পরিচিত মুখ। এখন পরপর বলিউড ছবি সই করছেন। ‘দে দে পেয়ার দে’-র পর ‘মরজাঁওয়া’। এতগুলো ইন্ডাস্ট্রি একসঙ্গে সামলাতে অসুবিধা হয় না?
– আমি তো এভাবেও কাজ করেছি যে, সকালে হায়দরাবাদে শুট করে সেদিন রাতেই মুম্বইয়ে শুটিং করেছি। অসুবিধা ভাবলেই অসুবিধা, না ভাবলে কোনও ব্যাপার না। পুরোটাই নিজের উপর। তাছাড়া আমার বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সারা জীবন বাবার বদলির কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। ফলে আমার কোথাও-ই মানিয়ে নিতে অসুবিধা হয় না। আমি এখন এমন হয়ে গিয়েছি যে একটা পরিত্যক্ত দ্বীপে কাদা-মাটি দিয়ে বাড়ি তৈরি করে স্বচ্ছন্দে থেকে যেতে পারব। কোনও অসুবিধা হবে না।
[আরও পড়ুন: এই ব্যক্তিই কি করণের সমকামী সঙ্গী? নেটদুনিয়ায় জল্পনা তুঙ্গে]
আপনি ফিটনেস নিয়ে খুবই সচেতন। কী কী মেনে চলেন?
– আমি মদ একেবারেই খাই না। কোনওদিন খাইনি তা নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ছেড়ে দিয়েছি। ফাস্ট ফুড খাই না। রোজ এক ঘণ্টা ওয়ার্কআউট করি।
কী কী করেন?
– মিলিয়ে মিশিয়ে করি। যেমন- ওয়েট ট্রেনিং, ফাংশনাল, কিক বক্সিং আর এরিয়াল যোগা। ছোটবেলা থেকে নিয়মিত খেলাধুলো করতাম বলে আমার শরীরে এনার্জি এত বেশি যে সারা দিন কোনও একটা এক্সারসাইজ না করলে মনে হয় পাগল হয়ে যাব। কিছু না পেলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করি। ওয়ার্কিং আউট গিভস মি আ হাই।
আপনার ডায়েটে কী থাকে?
– আমি এটাকে ডায়েট বলি না, বলি হেলদি লিভিং। ডায়েট শব্দটা খুব ডিপ্রেসিং। ভাজাভুজি, মিষ্টি আর প্রসেসড ফুড ছাড়া আমি সব খাই। বাড়িতে তৈরি ডাল-রুটি আর তরকারি রোজ খাই।
ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছে হলে কী করেন?
– বাবা আর্মিতে ছিলেন, বাবার মেজাজটাও সে রকম। বাড়িতে কখনও চিপস জাতীয় খাবার ঢুকতেই দেননি। আমাদের বাড়িতে কোনওদিন এক প্লেট পকোড়াও ভাজা হয়নি, ভাবতে পারেন? ছোটবেলা থেকেই আমার ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যেসটা তৈরি হয়নি।
The post ‘আমার বয়ফ্রেন্ডকে ছ’ফুট লম্বা হতেই হবে,’ স্বপ্ন অভিনেত্রী রকুলপ্রীতের appeared first on Sangbad Pratidin.