সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : রোজ কাজের চাপে ঘুম কম হয়? কী ভাবছেন? ছুটির দিনে একটু বেশি ঘুমিয়ে তা অপূর্ণ ঘুম পুষিয়ে নেবেন? মোটেই ঠিক ভাবনা নয়। সপ্তাহে ১ দিন বাড়তি ঘুম মোটেই বাকি ৬ দিনের ঘুমের অভাব মেটাতে পারে না। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল এমনই রিপোর্ট। যা দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমোন। অন্তত ৬ ঘণ্টা। নাহলে শরীর এবং মনে ক্লান্তি আসবেই।
দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে মন ভাল রাখার পাসওয়ার্ড কী?
সকালে সময়মতো অফিস পৌঁছানোর চিন্তা কিংবা হাতের কাজ শেষ হতে হতে বেশ খানিকটা রাত গড়িয়ে যাওয়া। এধরনের পরিস্থিতির মধ্যে আজকাল অনেক কর্মরত মহিলা, পুরুষকেই পড়তে হয়। ফলে দৈহিক ঘড়ি অর্থাৎ বায়োলজিক্যাল ক্লক মেনে ঘুমের সময় থেকে এমনিই কিছুটা বাদ পড়ে যায়। প্রয়োজনমতো ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম হয় না। এর ফলে দিনভর ক্লান্তি, ঘুম পাওয়া, মনসংযোগে ব্যাঘাত, মেজাজ হেরফের হওয়া – এসব উপসর্গ দেখা দেয়। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দৈনন্দিন জীবনে ঘুমের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা করছিলেন। দু’ধরনের মানুষের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। একদল, যাঁরা প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা ঘুমোন। আর একদল, যাঁরা কেবলমাত্র সপ্তাহান্তে অতিরিক্ত সময় ঘুমোন। গবেষক দলের প্রধান ক্রিস ডেপনার জানিয়েছেন, ‘প্রথমদিকের সমীক্ষায় আমরা দেখছিলাম, অপর্যাপ্ত ঘুম হজমের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে। দেখা যাচ্ছিল, যারা বেশি রাত করে ঘুমোতে যান, তাঁদের হজমের গোলমাল হয় বেশি। স্থূলতা এবং ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। পরে আমরা এটা দেখতে চাইলাম যে যাঁরা শুধুমাত্র সপ্তাহান্তে ঘুমোন, তাঁদের উপর কী প্রভাব পড়ে।’
জানেন, নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে কেন হয় অ্যালার্জি?
দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ঘুমোন, একটা সময়ের পর তাঁদের ওজন কিছুটা বেড়ে যায়। এই বাড়তি ওজন সামগ্রিক শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। ডায়বেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। আর যারা দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা সময় দিতে পারেন ঘুমের জন্য, তাঁরা যে কোনওরকম অসুস্থতার সঙ্গে যুঝতে প্রস্তুত। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রিপোর্টকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তা দেখেই তাঁদের পরামর্শ, ভাল করে ঘুমের জন্য সপ্তাহান্তের অপেক্ষায় থাকবেন না। প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা ধরে ঘুমোন। তাতেই শরীর ভাল থাকবে। এবং ছুটির দিনটিতে বেশি বালিশ আঁকড়ে বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে থাকার ইচ্ছেও চলে যাবে।
The post সপ্তাহান্তে বাড়তি নিদ্রায় সমাধান নেই, বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.