ধীমান রায়, কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমানে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্য সভাপতির সভার আগেই তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান জেলার দাঁইহাট শহরে। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দলের কর্মীরা। সভার শুরুর আগেই ভাঙচুর করা হয় চেয়ার টেবিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার পূ্র্ব বর্ধমানের দাঁইহাটের বাগতিকর এলাকায় বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কার্যালয় অফিসে বিশেষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের। আলোচনা সভার পর বিকেলে নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সম্বর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। তবে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ সেখানে পৌঁছনোর আগেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: রামদেবের সুপারিশ আর মোদিজির জনপ্রিয়তায় সাংসদ হয়েছেন বাবুল! তীব্র আক্রমণ জিতেন্দ্রর]
এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলের একাংশ বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ ও দাঁইহাট নগর কমিটির সভাপতি অনুপ বসুকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দুই নেতাকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কৃষ্ণ ঘোষ ও অনুপ বসুর মতন নেতাদের জন্য একুশের নির্বাচনে ফল খারাপ হয়েছে বিজেপি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর ওই নেতারা কর্মীদের কোনও খোঁজখবর রাখেনি। সেই ক্ষোভেই এদিন ওই দুই নেতার পদত্যাগের দাবি জানান দলের কর্মীদের একাংশ। অন্যান্য কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
এদিন দুপুর একটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ। অশান্তি প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যারা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, দলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে তাঁরা বিজেপির কর্মী হতে পারেন না। যদি দেখা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে কেউ বিজেপির সদস্য রয়েছেন তাহলে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”