shono
Advertisement

Breaking News

Corona vaccine: কসবার ‘ভুয়ো’টিকাকরণের তদন্তে এবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ

আর কোথায় কোথায় টিকাকরণ শিবির করেছিল 'ভুয়ো' IAS? খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
Posted: 10:32 AM Jun 24, 2021Updated: 10:33 AM Jun 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় ভুয়ো টিকাকরণের ঘটনার তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (Detective department)। অ্যান্টি ফ্রড সেকশন এই বিষয়টির তদন্ত করবে। ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকটি তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার তদন্তভার নেওয়া গোয়েন্দাদের হাতে সেসব তুলে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কসবার আগে আর কোথায় কোথায় ধৃত দেবাঞ্জন ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্প করেছে, তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বুধবার কসবা এলাকায় করোনা টিকাকরণের (Corona vaccination) ভুয়ো ক্যাম্প চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে। সে নিজেকে IAS অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় ক্যাম্প চালাচ্ছিল। এই ক্যাম্প থেকেই মঙ্গলবার টিকা নিয়েছিলেন যাদবপুরের তারকা-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরও তিনি টিকা পেয়েছেন, এই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ না আসায় তাঁর সন্দেহ হয়। তারপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, দেবাঞ্জন দেবের তত্বাবধানে চলা ওই শিবির কলকাতা পুরসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নয়। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে পুরসভা। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে শুরু হয় মামলা।

[আরও পড়ুন: ফুসফুসে সুচ আটকে বিপত্তি! কিশোরীর প্রাণ বাঁচালো SSKM]

দেবাঞ্জনকে জেরা করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, এর আগে উত্তর কলকাতার একটি কলেজে টিকাকরণের শিবির করেছিল দেবাঞ্জন। সেখানে প্রায় ৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তার আগে সোনারপুরে (Sonarpur) ক্যাম্প করেছিল সে। টিকাকরণে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিতে সেই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। কিন্তু কেউই ঘুণাক্ষরে টের পাননি যে বিষয়টি ভুয়ো। কোথায় কোথায় কারা দেবাঞ্জনের এই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছেন, তার খোঁজ শুরু করেছে পুরসভা। তাদের ঠিকানা ধরে ধরে হদিশ চাওয়া হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: মমতার আপত্তি সত্ত্বেও বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি]

প্রশ্ন একটাই, নিজের ভুয়ো IAS পরিচয়ের মতো ভ্যাকসিনও কি ভুয়ো? যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কসবার ওই শিবিরে থাকা টিকার ডোজের ভায়াল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ নয়। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায়, টিকা সাম্প্রতিক। কোথা থেকে সে টিকা জোগাড় করেছিল, কোথা থেকেই বা টিকাকরণ শিবির করার অনুমোদন মিলত – এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আরেকটি সূত্রে খবর, দেবাঞ্জন এবং তার পরিবারের সদস্যরা করোনা টিকা নিয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। এই তথ্যও অনেক প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে। তবে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগের হাতে মামলা হস্তান্তরিত হওয়ায় সেই সব তথ্যই অচিরে প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement