অর্ণব আইচ: ভুয়ো আইএএস, সিবিআই অফিসারের পর এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ভুয়ো ডিরেক্টর। ইএম বাইপাস থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে Government of West Bengal বোর্ড লাগানো গাড়ি।
বুধবার রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় নাকা তল্লাশি চলছিল। সেই সময় ডেপুটি ডিরেক্টর ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো (National Crime Control Bureau) লেখা গাড়ি আটক করে পুলিশ। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তবে বয়ানে মেলে হাজারও অসঙ্গতি। সদুত্তর দিতে না পারায় গাড়ির মালিক গোলাম রব্বানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা যায় বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কী ধরনের প্রতারণা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের বন্যায় মৃতদের পরিবারের পাশে PM Modi, ঘোষণা আর্থিক সাহায্যের]
দিনকয়েক ধরে শহরে বারবার ভুয়ো আধিকারিক পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডের দেবাঞ্জন দেবকে দিয়ে শুরু হয় ধরপাকড়। তারপর কখনও ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক। আবার কখনও ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক পুলিশের জালে ধরা পড়ে। এমনকী নিউটাউনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ভুয়ো নেমপ্লেট লাগানো গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে টহলদারি চলছিল পুলিশের। সেখান দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ট্রাফিক আইনকে অগ্রাহ্য করে যাওয়ার সময় চকোলেট রঙের এসআইভিটিকে আটকান সাব ইন্সপেক্টর গোবিন্দ ঘোষ। গাড়িতে ইংরেজিতে লেখা হিউম্যান রাইটস চেয়ারম্যান। আর হিন্দিতে লেখা ‘সর্বোচ্চ অন্তরাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশন’। তলায় ছোট্ট করে লেখা ‘নর্থ কলকাতা।’ এই কলকাতা লেখাটাই সন্দেহের উদ্রেক করে পুলিশের বলে জানা গিয়েছে। এরপরই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাতে সন্দেহের নিরুপণ না হওয়ায় নিউটাউন থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে আর একপ্রস্থ জেরা চলে। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।