সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে (Whatsapp) আপনার মেসেজে একটি লাল ও দু’টি নীল টিক মানে আপনি সরকারের নজরে পড়েছেন। সরকার আপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। আর তিনটি লাল টিক মানে ব্যাপারটা আর সম্ভাবনার মধ্যে নেই। সরকার আপনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা রুজু করে ফেলেছে। এমনই এক বার্তা ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু সত্যিই কি ভাইরাল হয়ে যাওয়া এই বার্তার মধ্যে সত্যতা আছে? আপনাকে নিশ্চিত করতে বলে দেওয়া যাক, একটুও নয়। একেবারেই নয়। পুরোটাই সারবত্তাহীন। গত বছরও এমন এক মেসেজ ভাইরাল হয়েছিল। এবারও সে ফিরে এসেছে। এবং এই বার্তাটি আদ্যন্ত ‘ফেক’ (Fake message)।
এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, নেটিজেনদের বাকস্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকার নিয়েও। এমনই পরিস্থিতিতে এই ভুয়ো বার্তা ছড়াতে শুরু করেছে। সেখানে পরিষ্কার দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশে হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। একবার নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হয়ে গেলেই সমস্ত কল রেকর্ড করা হবে। নজরদারি চলবে আপনারা পাঠানো সব বার্তায়। এবং সরকার বিরোধী কোনও রকম মেসেজ পাঠালেই আপনাকে গ্রেপ্তার করা হবে। বলাই বাহুল্য, এমন কোনও নির্দেশ সরকারের নির্দেশিকায় নেই। তবুও যাচাই না করেই বার্তা ফরোয়ার্ড করার কুঅভ্যাসে এই মেসেজ ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
[আরও পড়ুন: আধুনিক পদ্ধতিতে সোনায় লগ্নি করুন, একেবারে নিশ্চিন্তে, পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞ]
এর আগেও এই ধরনের ভুয়ো মেসেজ ভাইরাল হয়েছে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বহু নেটিজেনই বিন্দুমাত্র ভাবনাচিন্তা কিংবা যাচাই না করেই মেসেজগুলি ফরোয়ার্ড করে দেন। সেটা আটকাতে হোয়াটসঅ্যাপ আগেই সতর্ক হয়েছে। এখন কোন মেসেজ কেউ নিজে পাঠালেন আর কোনটা ফরোয়ার্ড করলেন তা আলাদা করা যায়। পাশাপাশি যে বার্তা অনেকবার ফরোয়ার্ড করা হয়েছে, তা পাঁচবারের বেশিজনকে একসঙ্গে পাঠানোও যায় না। সেই সঙ্গে বারবার সতর্কও করা হয়েছে সকলকে। কিন্তু তবুও এই প্রবণতা যে কমেনি তা ফের এমন ধরনের ভুয়ো মেসেজের ভাইরাল হওয়া থেকে পরিষ্কার।
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ এর আগে একাধিকবার জানিয়েছে, এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে মেসেজে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। অর্থাৎ প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া তা আর কেউই পড়তে পারে না। তবুও বারবার এই ধরনের মেসেজ ভাইৱাল হতে দেখা গিয়েছে।