shono
Advertisement
Calcutta High Court

শ্লীলতাহানির মিথ্যে অভিযোগ! দোষ প্রমাণে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ হাই কোর্টের

অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়ার সময় নিম্ন আদালতের বিচারককে বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 11:35 AM Sep 25, 2024Updated: 11:51 AM Sep 25, 2024

গোবিন্দ রায়: নারী নির্যাতন নিয়ে যখন তোলপাড় কলকাতা, তখন শ্লীলতাহানির মিথ্যে অভিযোগ উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। শুধু তাই নয়, মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে এক বছর জেলও খাটতে হয় তিন অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

এদিন তিন অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে আদালত জানিয়েছে, অবিলম্বে বিচার প্রক্রিয়ার সময় নিম্ন আদালতের বিচারককে বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, মিথ্যা অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতকে বিশেষভাবে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকায় গত বছর ৮ আগস্ট এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে রাজিবুল মোল্লা-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বহরমপুর থানার পুলিশ।

সেই সময় নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৭ বছর। কিন্তু গোপন জবানবন্দি দেওয়ার সময় দেখা যায় তার বয়স ১৮ বছর। গোপন জবানবন্দিতে ঘটনার বিবরণ দেয় আক্রান্ত। নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয় তিন অভিযুক্তের। এর পর জামিন চেয়ে তারা হাই কোর্টে মামলা করলে এদিন দুরকম বক্তব্যে ধন্দে পরে যায় আদালত। তিন অভিযুক্তের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, "আদালত জামিন মঞ্জুর করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।" এর পরই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলে আদালত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নারী নির্যাতন নিয়ে যখন তোলপাড় কলকাতা, তখন শ্লীলতাহানির মিথ্যে অভিযোগ উঠল কলকাতা হাই কোর্টে।
  • শুধু তাই নয়, মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে এক বছর জেলও খাটতে হয় তিন অভিযুক্তকে।
  • মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
Advertisement