সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত হাজার হাজার কৃষককে (Farmers protest) উসকানি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানেনই না তাঁরা কী চান। নতুন কৃষি আইন (Farm law) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন মথুরার সাংসদ ও বিজেপি নেত্রী হেমা মালিনী (Hema Malini)। গতকালই নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে হেমার দাবি, এই রায়ের ফলে উত্তেজনা কমবে।
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট নতুন কৃষি আইনগুলি স্থগিত রেখে ভাল করেছে। এর ফলে পরিস্থিতি শান্ত হবে। এতবার আলোচনার পরেও কৃষকরা কোনও ঐকমত্যে আসতে পারেননি। ওঁরা জানেনই না ওঁরা কী চান এবং কৃষি আইনের সমস্যাই বা কী। মনে হচ্ছে, কেউ করতে বলেছে বলেই ওঁরা আন্দোলন করছেন।’’ এই ভাবেই হেমা মালিনীর কথায় ফের উঠে এল বহিরাগত শক্তির উসকানির দাবি। যা এর আগেও বহু গেরুয়া নেতার মুখে শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : শিক্ষা হয়নি সাধ্বী প্রজ্ঞার! ফের গডসেকে ‘দেশভক্ত’ বললেন বিজেপি সাংসদ]
পাঞ্জাবে জিও-র মোবাইল টাওয়ার ভাঙারও তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। হেমা মালিনী জানিয়েছেন, ‘‘পাঞ্জাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা টাওয়ার ভাঙছেন, এটা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। সরকার তো বারবার ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। কিন্তু ওঁদের কোনও অ্যাজেন্ডাই নেই!’’
মঙ্গলবার নয়া কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। পাশাপাশি নয়া কৃষি আইন পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে শীর্ষ আদালত। এই রায়ে খুশি নন দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা। তাঁদের সাফ কথা, যতদিন না আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততদিন তাঁরা নিজেদের আন্দোলন থেকে এক পাও পিছিয়ে আসবেন না। তাঁদের নয়া স্লোগান ‘কানুন ওয়াপসি নেহি তো ঘর ওয়াপসি নেহি!’ কৃষকদের সংঠনগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যে চার সদস্যের কমিটিকে কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই সরকার ঘনিষ্ঠ। এবং কেন্দ্রের এই নয়া আইনের সমর্থক। তাই এঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা তাঁরা করবেন না।