shono
Advertisement
Alipurduar

হড়পা বানে ২৫০ বিঘার চা গাছ নষ্ট সুভাষিণী বাগানে, ভিটেছাড়া শ্রমিকরা

বিপর্যয়ের কারণে মাথায় হাত শ্রমিকদের।
Published By: Suhrid DasPosted: 12:31 PM Oct 11, 2025Updated: 12:31 PM Oct 11, 2025

রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ভুটান থেকে ধেয়ে আসা নদীর জলে জেলার একাধিক চা বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে চা বাগান রক্ষাকারী নদীবাঁধ। বিঘার পর বিঘা চা গাছ উপড়ে ফেলে গোটা এলাকা ফাঁকা করে দিয়েছে নদী। চা গাছের নতুন চারাগাছেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় মোট ৬৪টি চা বাগান। তার মধ্যে অন্তত ১০টি চা বাগানের কয়েক হাজার বিঘার চা গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাসিমারার সুভাষিণী চা-বাগানের। এখানে তোর্সা নদীর বাঁধ ভেঙে রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ হু হু করে জল ঢুকে গিয়েছে চা বাগানে। এই চা বাগানে প্রায় ৯০ হেক্টর বা ২৫০ বিঘা জমির চা গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভেঙেছে শ্রমিক বস্তি। বিপদ বুঝে বসতি ছেড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন শ্রমিকরা। ভিটেমাটি সব হারিয়েছেন চা শ্রমিকরা। অনেক শ্রমিক পরিবারের এখন মাথা গোঁজার ঠাইটুকু নেই।

Advertisement

শুধু সুভাষিণী চা বাগান নয়, জেলার মেচপাড়া, রায়ডাক, তোর্সা-সহ একাধিক চা-বাগান ভুটান থেকে ধেয়ে আসা নদীর জলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণ হবে কীভাবে, তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিভিন্ন মহল। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব বলেন, ‘‘সুভাষিণী চা বাগান অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকদেরও বাড়ি-ঘর ভেঙে গিয়েছে। আমরা এই ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা যায়, তার চিন্তাভাবনা করছি। ত্রাণ দেওয়া চলছে। এলাকায় কিছু মানুষকে খাবারের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’

সুভাষিণী চা বাগানের মহিলা শ্রমিক আলফা টিগ্গা বলেন, "বাড়িঘর সব ভেঙে গিয়েছে। এখন কাজেও যেতে পারছি না। বাড়ি-ঘর ঠিক করতেই সময় চলে যাচ্ছে। কাজ না করলে আবার মজুরি মিলবে না।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভুটান থেকে ধেয়ে আসা নদীর জলে জেলার একাধিক চা বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
  • ভেঙেছে চা বাগান রক্ষাকারী নদীবাঁধ।
  • বিঘার পর বিঘা চা গাছ উপড়ে ফেলে গোটা এলাকা ফাঁকা করে দিয়েছে নদী।
Advertisement