অসময়ের বৃষ্টির ফলে বহু জমিতে কাটা অবস্থায় ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। সদ্য পোঁতা আলু বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা, জমিতেই। এই রকম পরিস্থতিতে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কৃষিবিজ্ঞানীরা কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। লিখেছেন ভগবানগোলা-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা ড. সুকমল সরকার ও রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজল সেনগুপ্ত। আজ প্রথম পর্ব।
ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের (Cyclone Jawad) ফলে অসময়ের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রাজ্যের দক্ষিনবঙ্গের একাধিক জেলার ধান, আলু ও সবজি চাষিরা। অন্য দিকে, ফলন কম হলে শীতের মরসুমে ধান, আলু, ডাল-সহ একাধিক শীতকালীন সবজির দাম বাড়ারও সম্ভাবনা। হুগলি, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় অত্যধিক বর্ষণের ফলে জলের তলায় বসতি এলাকা-সহ অধিকাংশ চাষের জমি।
[আরও পড়ুন: এলাকায় দেখা নেই, ‘নিখোঁজ’ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সন্ধানে পোস্টার পাণ্ডুয়ায়]
পূর্ব বর্ধমানের কৃষি দপ্তরের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে এই জেলাতে আলু ছাড়াও ধানও ক্ষতির মুখে পড়বে। প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে অতিবৃষ্টির ফলে প্রায় ৬৫,০৫৪ হেক্টর জমির পাকা ধানের ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া, ১৪,১১৫ হেক্টর জমির সরষে চাষেও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় একই অবস্থা হুগলি জেলাতেও। অসময়ের বৃষ্টির ফলে বহু জমিতে কাটা অবস্থায় ধান মাঠে পড়ে রয়েছে। সদ্য পোঁতা আলু বীজ পচে যাবার আশঙ্কা, জমিতেই। এই রকম পরিস্থতিতে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীরা কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। যেহেতু অনেক জমিতে এখনো জল জমে আছে, তাই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে অনেক দেরি হবার আশঙ্কা থেকে যায়, তাই স্বল্পচাষ পদ্ধতিতে চাষ করলে উপকার পাওয়া যায়।
সরষে ও রাই: এই সময় সরষে ও রাইয়ের ফুল চলে আসে। জমিতে জল জমে থাকলে তা তৎক্ষণাৎ বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাতাতে হলুদ ছোপ বা কাণ্ড ও গোড়া পচা রোগ দেখা দিলে মেটালাক্সিল ৮ শতাংশ ডাব্লুপি ও ম্যানকোজেব ৬৪ শতাংশ (ব্ল়াইটকাট/টরেন্টো /মাস্টার) বা এর মিশ্রন ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে ও তারপর কপার অক্সিক্লোরাইড ৫০ শতাংশ ডাব্লুপি ৪ (ব্ল়াইটক্স/ব্লুকপার) গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়।