শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আগাম বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাদাম গাছ। উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি রোদের অভাবে বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি তিস্তা পাড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন কৃষি আধিকারিকরা। জলপাইগুড়ির শহর সংলগ্ন তিস্তার সুকান্ত নগর, সারদাপল্লির পাশাপাশি মণ্ডল ঘাট এলাকাও ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন কৃষকদের সঙ্গে।
গত কয়েক বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় আলু, ভুট্টার মতো অর্থকরী ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করে চলেছেন তিস্তা পাড়ের কৃষকেরা। এই বছর সময়ের আগে বর্ষা এবং নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়েছেন বাদাম চাষিরা। নদীর পাড়ে বাদাম খেতে জল জমে যাওয়ায় গোড়া পচে যাচ্ছে বাদাম গাছের। এদিকে তড়িঘড়ি তুলেও বিপদ। পিঙ্কন দাস, শঙ্কর দাস জানান, বাদাম তুললেও অতিরিক্ত জল পেয়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। তার উপর বাদামের দানা ছোট। উৎপাদনও কম হয়েছে বলে জানান তারা। ঘটনার কথা জানতে পেরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। ছিলেন কৃষি দপ্তরের জলপাইগুড়ি সদরের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভ দাস। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
কৃষি আধিকারিকদের পরিদর্শনে কিছুটা আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, আগাম বৃষ্টিতে কতটা এলাকা এবং কতটা উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার হিসেব কষা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায় জানান, কৃষি আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এক্ষেত্রে কিভাবে সাহায্য করা যেতে পারে এই নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
