মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে জমিতে। পাশাপাশি ডিভিসির ছাড়া জলে বহু এলাকা ডোবার আশঙ্কা। এই অবস্থায় যদি আবহাওয়া ও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয়, তাহলে মাঠেই নষ্ট হবে বীজতলা। ক্ষতির মুখে পড়বেন আমন ধান চাষিরা। এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে নষ্ট হচ্ছে সবজি চাষ।
এখন আমন ধান চাষের মরশুম। আমতা ২ নম্বর ব্লক, উদয়নারায়ণপুরে ব্যাপক পরিমাণে ধান এবং সবজি চাষ হয় এই মরশুমে। কিন্তু টানা বৃষ্টির জেরে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। এই সময় আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরির সময়। কিন্তু বৃষ্টির ফলে জল জমে থাকায় বহু চাষি তলা ফেলতে পারছেন না। আবার অনেকে বীজতলা তৈরির জন্য ধান ছড়িয়েছিলেন জমিতে। কিন্তু বৃষ্টিতে কিছু ক্ষেত্রে সেগুলো আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া সবজিরও ক্ষতি হচ্ছে। উদয়নারায়ণপুরে পটল, ঝিঙে, কুমড়ো-সহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে গোড়া পচে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। সবজি এবং ধান ছাড়াও আমতা, উদয়নারায়ণপুরে বাদাম এবং তিল চাষ হয়। বাদাম এবং তিল তোলার মরশুম এই সময়। বড় অংশের তিল এবং বাদাম তোলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ২০ শতাংশ তিল এবং বাদাম জমিতে রয়ে গিয়েছে। আর এই বৃষ্টিতে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে চাষিদেরও বক্তব্য। উদয়নারায়ণপুরে মনশুকা এলাকার চাষি উত্তম হাজরা প্রায় দু'বিঘা তিল এবং দু'বিঘা বাদাম চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, "আমার জমির অনেকটা বাদাম এবং তিল রয়ে গিয়েছে জমিতে। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক চাষিরই বাদাম এবং তিল চাষ নষ্ট হচ্ছে।
উদয়নারায়ণপুর এলাকার আরেক চাষি মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত বলেন, "আমি ৮ বিঘা জমি চাষের জন্য প্রায় ২৫ কিলোগ্রাম ধানের বীজ তৈরি করেছি। কিছু জমিতে বীজ ফেলতে সক্ষম হয়েছি। কিছু জমিতে জল থাকায় বীজ ফেলতে পারিনি। এই বৃষ্টিতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আরও বৃষ্টি হতে থাকে, তাহলে সব বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।" তিনি আরও বলেন, "আবার নতুন করে বীজতলা ফেলতে হবে। সেটাতেও আবার খরচের পালা। তার উপর যদি বন্যা হয়, তাহলে সব মাঠে মারা যাবে।"
