মলয় কুণ্ডু: কৃষকদের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্যের। ভাল জাতের আলু তৈরির জন্য উন্নতমানের চারা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। যার মাধ্যমে একদিকে যেমন উৎপাদন বাড়বে, তেমনই আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন আলু চাষে যুক্ত চাষিরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
২০২১-২২ সালে প্রায় ৯০ হাজার মাইক্রোপ্ল্যান্টস, ৭.২ লক্ষ মিনিটিউবার এবং ৩১০ মেট্রিক টন অ্যাডভান্স জেনারেশন সিডস চাষিকে দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে কাজ চালাচ্ছে কৃষি দপ্তর। নবান্ন সূত্রে খবর, এর মাধ্যমে ৯টি জেলায় রাজ্যের ২৭টি কৃষকদল উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে ১৩টি সরকারি ফার্ম এবং ৩টি গবেষণা কেন্দ্র। এর পাশাপাশি উন্নতমানের প্রযুক্তিও চাষিদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি দপ্তর।
[আরও পড়ুন: বন্যায় জমি হারিয়ে ভাসমান বাগানে সবজি চাষ সুন্দরবনের চাষিদের, স্বীকৃতি দিল রাষ্ট্রসংঘ]
কৃষকদের নেট হাউস, উৎপাদন এবং উন্নতমানের চারা কেনার জন্য ভরতুকিও দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ‘বঙ্গশ্রী’-র মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। এদিকে, আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুরে আনন্দপুর ফার্ম ও আলু ও সবজি চারা বাড়ানোর ইউনিটটি পরিদর্শন করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ‘কৃষকবন্ধু’ (Krishak Bandhu) প্রকল্পের টাকা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে। কথা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে কৃষকরা বছরে পাঁচ হাজার টাকা করে এই প্রকল্পে ভাতা পেতেন। এবার সেটা দশ হাজার করা হয়েছে। যাদের জমি এক একরের কম তারাও এই প্রকল্পে বছরে দু’হাজার টাকা পেত। এবার সেটা বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। কেন্দ্রের যে কৃষক ভাতা প্রকল্প রয়েছে, সেখানে যেসব কৃষকের দু’একরের বেশি জমি রয়েছে, তারাই একমাত্র ভাতা পায়। রাজ্য সমস্ত কৃষককে তার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এনেছে। এমনকী, যেসব খেতমজুর, বর্গাদারদের সামান্য জমি তাদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে। এই প্রকল্পে বার্ষিক ভাতা ছাড়াও কৃষকদের দু’লক্ষ টাকার জীবনবিমা করে দেওয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর রাজ্যের ২৮ হাজার কৃষক পরিবার মৃত্যুকালীন বিমার সুবিধা পেয়েছে। এবার আলুচাষিদের জন্য নেওয়া হল বিশেষ পদক্ষেপ।