সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেটদুনিয়ার প্রভাবে নানারকম বিউটি টিপস ফলো করছে এখন আট থেকে আশি। অনেকেই সেই টিপস ফলো করার আগে ভাবছেন না তা তাঁর চুল বা ত্বকের জন্য আদৌ উপযোগী কিনা। সেভাবেই এই মুহূর্তে বেশ ট্রেন্ডিং 'ক্যান্ডেল ময়েশ্চারাইজার'। চোখ বন্ধ করে ত্বকে গরম মোম ব্যবহার করছেন? জানেন কি, এই বিউটি হ্যাকস আপনার ত্বকের জন্য আদৌ উপকারী কিনা? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ছবি: ফেসবুক
জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে গলে পড়া মোম ত্বকে মেখে তা সোশাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে দেখা যায় ইনফ্লুয়েন্সারদের। কেউ কেউ আবার তা তৈরি করছেন বাড়িতেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম মোমের মধ্যে থাকতে পারে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা আপনার ত্বকের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। শুধু তাই নয় গরম মোম সরাসরি ত্বকে দিলে ত্বক পুড়েও যেতে পারে। হতে পারে ত্বকের অন্যান্য সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরম মোম প্রথমে ত্বকের আর্দ্রতা এনে দিলেও তা কিন্তু সাময়িক। কারণ গরম মোম ত্বকে দিলে ত্বকের রোমকূপের মুখ বন্দ হয়ে গিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়। তাই এই বিউটি হ্যাকস আপনার ত্বককে সাময়িক সৌন্দর্য দিলেও ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
ময়েশ্চারাইজারের কাজ হল ত্বককে হাইড্রেট করা। অর্থাৎ শুষ্কভাব দূর করা। মরশুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে তাই ত্বকের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয় ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার। তাই চোখের দেখাতে পছন্দ হওয়া প্রসাধনী, ক্রিম বা বডি অয়েল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে অভিজ্ঞমহল।
পাশাপাশি তাঁরা এও জানাচ্ছেন, বাজার চলতি মোম দিয়ে তৈরি হয় না 'ক্যান্ডেল ময়েশ্চারাইজার'। এই ময়েশ্চারাইজার বানানোর জন্য মোমের সঙ্গে যোগ করা হয়ে থাকে শিয়া বাটার, ভিটামিন ই, এসেনশিয়াল অয়েল-এর মতো উপাদানগুলি। তাই বাজারচলতি মোমে ত্বক সুন্দর করার উপায় থেকে বিরত থাকতেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
