shono
Advertisement

Breaking News

Fashion

বিয়ের বাজারে 'হিট' ডিজিটাল প্রিন্ট, সৃষ্টিশীলতায় তাক লাগাচ্ছেন আরামবাগের ছাত্রী!

বিয়ের টোপর, মুকুট থেকে পিঁড়ি তত্ত্বসূচিতে দারুণ আঁকছেন অন্বেষা।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 07:51 PM Jul 06, 2025Updated: 08:07 PM Jul 06, 2025

সুমন করাতি, হুগলি: বিয়ে মানে জীবনে এক নবযুগের সূচনা। তার সঙ্গে জড়িয়ে যত মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান, উপকরণ। বিয়ের সাজ - সে তো আলাদা এক অধ্যায়। বর, কনের সাজই তো শুধু নয়। পরিণয়ের সমস্ত সামগ্রীতে শুভত্বের ছোঁয়া, শিল্পের প্রদর্শনী। আর সেসব কাজে আপন হাতের ছোঁয়ায় সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন আরামবাগের কলেজছাত্রী অন্বেষা সামন্ত। তাঁর হাতের কাজ একেবারে তাক লাগানো। আজকের যুগে বিয়ের সমস্ত সামগ্রীতে রকমারি ডিজিটাল প্রিন্ট! নতুন নকশা দেখেডল প্রশংসা না করে উপায় নেই। শুধু কি বিয়েবাড়ির জিনিস? মোটেই না। অন্বেষার তুলির টানে ফটোফ্রেম, রাখি, পাঞ্জাবি, লেহেঙ্গা হয়ে উঠছে অনন্য, ব্যতিক্রমী। আঁকার ঝোঁক থাকলে এই পথে সহজেই স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব, সেই স্বপ্ন বাস্তব করে দেখাচ্ছেন এই ছাত্রী।

Advertisement

বিয়ের অনুষ্ঠানে টোপর, মুকুট, গাছ কৌটো, বিয়ের পিঁড়ি, তত্ত্বসূচি, সিঁদুর কৌটো - সমস্ত উপকরণই তো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেসবের মধ্যে বৈচিত্র্য অনেক কম। অনেকেই এখন ঐতিহ্য আর আধুনিকতার নিখুঁত মেলবন্ধন খোঁজেন বিয়েতে। খোঁজেন শিল্পের ছোঁয়া। ঠিক এই জায়গায় নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের হাল ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এক তরুণী। আরামবাগের কলেজছাত্রী অন্বেষা সামন্ত এই দুই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছেন।

আরামবাগ ব্লকের মোবারকপুর গ্রামের অন্বেষা ছোটবেলা থেকেই আঁকায় বেশ ভালো। তাই আঁকার মাধ্যমেই প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলছেন তিনি। এখন ডিজিটালের যুগ আর এই সময়ে ডিজিটাল প্রিন্ট বেশ জনপ্রিয়। মূলত পুজো, বিয়ে বাড়ি, ঘর সাজানোর জিনিস, পোশাক-সহ প্রায় ২০ রকমের সামগ্রীকে নিজের মৌলিকত্ব দিয়ে ব্যতিক্রমী রূপে গড়ে তুলছেন। সোশাল মিডিয়ায় নিজস্ব ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করে অর্ডার ও পাচ্ছে দেদার।

মোবারকপুর সামন্ত বাড়ির এই মেয়ে প্রান্তিক কৃষক পরিবার থেকে উঠেছেন। বাবা জয়দেব সামন্তের কিছু জমিজমা আছে সেই জমিতেই চাষ আবাদ করে সংসার চালান। ২২ বছরের অন্বেষা আরামবাগ গার্লস কলেজে এডুকেশন অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বাড়িতে দিদি, ভাই, বাবা, মা। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হস্তশিল্পকে কাজে লাগিয়ে আয়ের পথ বেছে নিয়েছেন অন্বেষা।
তাঁর কথায়, "চাকরিবাকরির যা হাল তাতে সেটা পাওয়ার আশা করি না। তার থেকে সৃজনশীল কাজ করে উপার্জন করা অনেক বেশি সম্মানের। কিছু তো পরিবারকে সাহায্য করতে পারি।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিয়ের সামগ্রীতে অভিনব নকশা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আরামবাগের কলেজছাত্রী।
  • বিয়ের টোপর, মুকুট থেকে পিঁড়ি তত্ত্বসূচিতে দারুণ আঁকছেন অন্বেষা সামন্ত।
Advertisement