সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে এবার বিদায়ের পালা। শনিবার সকাল থেকেই আম্বানি পরিবারের ছোট বউমাকে স্বাগত জানালে শশব্যস্ত আন্তেলিয়া। মেহেন্দি-সঙ্গীত, একগুচ্ছ প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে বিয়ের মতো বিদায়বেলার সাজপোশাকেও চমক দিলেন রাধিকা মার্চেন্ট (Radhika Merchant)। একেবারে স্বর্ণখচিত লেহেঙ্গায় 'রাজরানি' বেশে ধরা দিলেন নীতা-মুকেশের নতুন বউমা। যে চোখধাঁধানো পোশাকের নেপথ্যে মনীশ মালহোত্রা।
বিদায়পর্বে বিষাদের সুর হলেও, রাধিকা মার্চেন্টের সাজ যেন সেই ক্ষততে মলমের মতো। মনীশের ডিজাইন করা লাল-ঘিয়ে লেহেঙ্গায় গুজরাতের কচ্ছ উপত্যকার কাজ ফুটে উঠেছে। যে নকশা কিনা 'কচ্ছি এমব্রয়ডারি' নামেই পরিচিত। ঐতিহ্য আর সাবেকিয়ানার মেলবন্ধনে ১৯ শতকের সূচীশিল্প ফিরিয়ে অনেছেন মনীশ মালহোত্রা। গুজরাতের কচ্ছের শতাব্দী প্রাচীন কারুশিল্প ফুটে উঠেছে রাধিকার লেহেঙ্গায়। যা কিনা ঐতিহ্যবাহী 'আভো' নকশার অনুপ্রেরণায় তৈরি। আম্বানিবধূর গোটা লেহেঙ্গা বেনারসী ম্যাটেরিয়ালের তৈরি। যার মাল্টি লেয়ারে সোনার জরির কাজ করা। লেহঙ্গার সঙ্গে পিঠখোলা ব্লাউজে সোনার জরি দিয়ে 'কারচোবি' নকশা করা। ওড়নার কদরও কম নয়! সেটাকেও 'বেনারসী মাস্টারপিস' বলে বর্ণনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ। রাজকীয় সাজেই আম্বানিদের চৌকাঠে গেলেন নববধূ রাধিকা মার্চেন্ট।
[আরও পড়ুন: ১৬০ বছরের পুরনো! সোনা-রুপো খচিত শতাব্দী প্রাচীন শাড়ি পরে আম্বানি জলসায় আলিয়া ভাট]
[আরও পড়ুন: দেড় লাখি আনারকলিতে আঁটসাঁট অন্তঃসত্ত্বা দীপিকা, আম্বানিদের নিশিঠেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন!]
অন্যদিকে, বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য আবু জানি সন্দীপ খোসলার পোশাকে সেজেছিলেন রাধিকা। যা কিনা গুজরাতের কারুশিল্প 'পনিটর'-এর অনুপ্রেরণায় তৈরি। হালকা গোলাপি আভায় আম্বানিবধূকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তবে বিয়ের আসরে কিন্তু পুরনো গয়না পরেই বসেছিলেন তিনি। ২০২০ সালে যে গলার নেকলেস পরে বিয়ে করেছিলেন তাঁর দিদি অঞ্জলি মার্চেন্টও। এর আগে ২০১৮ সালে ইশা আম্বানির বিয়ের রিসেপশনেও এই একই গয়না পরে এসেছিলেন অনন্ত প্রেমিকা রাধিকা। আসলে বংশপরম্পরায় দিদিমার সেই গয়না পরেই মার্চেন্ট পরিবারের মেয়ের বিয়ের রীতি রয়েছে। আম্বানি পরিবারের বউমা হলেও তাঁর ক্ষেত্রেও সেটার অন্যথা হয়নি।