সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনে দিনে দাম বেড়েই চলেছে জ্বালানি তেলের। কিন্তু হাজার কারণে মধ্যবিত্তের পছন্দের যান হল দু’চাকা। এই অবস্থায় বিকল্প যান হয়ে উঠছে ই-স্কুটার বা ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter)। পলিউশন, ইনসিওরেন্স বা লাইসেন্সের মতো নথিপত্রেরও বালাই থাকে না ই-স্কুটারের ক্ষেত্রে। অথচ কাজ করে প্রায় জ্বালানিতে চলা স্কুটারের মতোই। কিন্তু সেই ভরসার যানেই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারিতে চার্জ দিতে গিয়ে ঘটল বিস্ফোরণ, তাতেই মত্যু হল তামিলনাড়ুর এক বাবা ও মেয়ের।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯ বছরের দুরাই ভর্মা ও তাঁর ১৩ বছরের মেয়ে মোহনা প্রীতির। তাঁরা ভেলোরের নিকটবর্তী আল্লাপূরমের বাসিন্দা। দুরাই পেশাদার ফটোগ্রাফার, প্রীতি স্থানীয় থিরুভন্নামালাই গভর্নমেন্ট স্কুলের ছাত্রী।
[আরও পড়ুন: আরও ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবেন ৮০ কোটি ভারতবাসী! বড় ঘোষণা মোদি সরকারের]
দু’দিন আগেই কাজের সুবিধার জন্য দুরাই ভর্মা ওই ইলেকট্রিক স্কুটারটি কিনে ছিলেন। শুক্রবার স্কুটারের ব্যাটারির চার্জ কমে যাওয়ায় বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে সেটিকে চার্জে বসান তিনি। কিছুক্ষণ পর কতখানি চার্জ হয়েছে তা দেখতে আসেন বাবা। পিছন পিছন আসে মেয়েও। সেই সময়েই ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয় চার্জারটিতে। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায় স্কুটারটিতে। নিমেষে স্কুটারের পাশে দাঁড় করানো আরও দুটো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন মারাত্মক হয়ে ওঠায় প্রাণ বাঁচতে ঘরে ঢুকে পরে বাবা-মেয়ে, সেখানেও আগুন ছড়ালে বাথরুমে ঢুকে পরে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয় দুরাই ও প্রীতি। ওই বাথরুমেই পোড়া কালো ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় উভয়ের।
[আরও পড়ুন: দু’বছর পর স্বাভাবিক হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, বদলে গেল বহু নিয়ম]
প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পেরে ওঠেননি। এরপর তাঁরাই দমকলে খবর দেন। দমকল এসে আগুন নেভানোর পর দেখা যায় দুরাই ও প্রীতির মৃত্য হয়েছে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য থিরুভন্নামালাই গভর্নমেন্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অতিরিক্ত চার্জের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটে যায় চার্জারটিতে।