সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে ফের হামলা হয় মন্দিরে। মুখে রুমাল বেঁধে মন্দিরে ঢুকে সরস্বতী প্রতিমার মাথা ভেঙে দেয় এক যুবক। এবার সেই অভিযুক্ত যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন খোদ বাবাই। এই ঘটনা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর শহরের শ্রী শ্রী মহামায়া মন্দিরের। এতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার হিন্দুদের মধ্যে।
বাংলাদেশের একাদিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মন্দির কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র কর্মকারের অভিযোগ, মন্দিরের সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত পাশের বাড়িতে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর মন্দিরের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মুখে রুমাল বেঁধে এক যুবক মন্দিরে ঢুকছে। এরপর প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির উদ্দেশ্যেই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
এনিয়ে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও জেলা পুজো উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা বলেন, যারাই এই প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এনিয়ে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিমা ভাঙার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে প্রতিমাগুলো ভেঙেছে, তা বের করার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই ঘটনার পর মন্দিরে যান। খোঁজ চলছিল অভিযুক্ত যুবকের।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের মালের বাড়ির বাগান থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয় বলে জানান লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) জামিলুল হক। অভিযুক্তের নাম জাকির হোসেন (৩০)। সে চরমোহনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনির আহমেদের ছেলে। মনির আহমেদই ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এনিয়ে তিনি বলেন, “আমার ছেলে ২০১৮ সাল থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তাকে কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছি। পরে টাকার জন্য আর পারিনি। সে একটি মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভেঙেছে। পরে স্থানীয় ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দি।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক বাংলাদেশেরই এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, শেখ হাসিনার পতনের পর মাত্র ৫ মাসে ধ্বংস করা হয়েছে ১৩৩টি মন্দির। বর্তমানে যে এই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর লাগাতার এই ঘটনা ঘটলেও চোখ বুজে রয়েছে ইউনুসের প্রশাসন।