সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুই আগের কথা। গণধর্ষিতা হন নাবালিকা মেয়ে। খবর পেয়ে ভিনরাজ্যের কর্মস্থল থেকে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নিজের গ্রামে ছুটে আসেন অসহায় পিতা। দ্রুত পুলিশে অভিযোগ জানাতে যান। যদিও অভিযোগ, উলটে কঠিন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন থানার কর্তব্যরত আধিকারিক। নেওয়া হয়নি এফআইআর। এই অবস্থায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন নির্যাতিতার বাবা। যোগীরাজ্যের এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে প্রশাসনের। ফের প্রশ্ন উঠছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। শোরগোল শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে।
ঘটনাটি জালাউনের। গ্রামেরই এক দল পুরুষ ধর্ষণ করে নাবালিকাকে। পুলিশে অভিযোগ জানালে প্রাণে মারা হবে, নির্যাতিতাকে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। নাবালিকার বাবা পাঞ্জাবে কাজ করেন। ফোনে মেয়ের কাছ থেকে বিপর্যয়ের কথা জেনে গ্রামে ছুটে আসেন তিনি। অভিযোগ, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এফআইআর নেয়নি পুলিশ। এমনকী কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক কঠিন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
[আরও পড়ুন: স্রেফ সংঘর্ষের জেরে নয়, করমণ্ডলের বহু যাত্রীর মৃত্যু তড়িতাঘাতেও, প্রকাশ্যে রিপোর্ট]
ঘটনার পর দুই মাস কেটে গেলেও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। এই অবস্থায় অসহায় পিতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মঙ্গলবার। এমন ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। থানার সামনে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন। জালাউনের এএসপি অসীম চৌধুরী বলেন, “দু’মাস আগে গণধর্ষণের শিকার হন নাবালিকা। গ্রামবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।