সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারিবারিক অশান্তির জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল এক জেলাশাসককে। বিয়ের পর থেকেই মা ও স্ত্রীর মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য ও বাদানুবাদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বক্সারের জেলাশাসক মুকেশ পাণ্ডে তাঁর আত্মহত্যার আগে একটি ভিডিওতে এই সব কথা রেকর্ড করে রাখেন। কেন তিনি আত্মহত্যা করছেন, তাঁর আত্মহত্যার পর পুলিশ যেন তাঁর বাড়ির সদস্যদের নিয়ে টানাটানি না করে- এই সব যাবতীয় বক্তব্য তিনি ঠান্ডা মাথায় রেকর্ড করে গিয়েছেন।
ভিডিওতে কী বলছেন পাণ্ডে? ইনি বলছেন, ‘বিয়ের পর থেকে একদিনও আমি শান্তি পাইনি। আমার মা ও স্ত্রী-দু’জনেই আমাকে খুব ভালবাসেন। কিন্তু কখনও কখনও বেশি ভালবাসাই প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।’ নিজের নাম, বাবা ও মায়ের নাম, স্ত্রীর নাম উল্লেখ করে ওই ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর খবরটুকু যথাসময়ে আমার বাড়ির লোকেদের জানিয়ে দেবেন। আমি বাড়িতে মিথ্যা বলেছি যে আমি কাজের সূত্রে দিল্লি যাচ্ছি। আমি আত্মহত্যা করতে এসেছি।’
২০১২-র আইএএস ব্যাচের কৃতী এই অফিসারের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় গাজিয়াবাদের রেললাইনের উপর থেকে। শুক্রবার এ কথা জানিয়ে পুলিশের ইঙ্গিত, পারিবারিক অশান্তির কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বিহারের বক্সারের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা। যদিও মৃতের শ্বশুর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১২-র ইউপিএসসি পরীক্ষায় ১৪তম স্থান অধিকার করেন মুকেশ পাণ্ডে। দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় এত ভাল র্যাঙ্ক করেও কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি? গাজিয়াবাদের রেললাইনের উপর ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর দেহ থেকে মুণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের কাছ থেকে বেশি কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। তাঁর হোটেলের ঘরে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে মিলেছে ‘সুইসাইড নোট’। ওই নোটেই বিস্তারিতভাবে লেখা রয়েছে, ‘আমি দিল্লির জনকপুরীর কাছে আত্মহত্যা করতে চলেছি…। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাদের সবাইকে খুব ভালবাসি।’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃত পাণ্ডেকে একজন দক্ষ অফিসার বলে মন্তব্য করেছেন। গাজিয়াবাদের জেলাশাসক জানিয়েছেন, পাণ্ডের মৃতদেহ দ্রুতই তাঁর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আপাতত দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তর জন্য।
দেখুন সেই ভিডিও:
The post মা ও স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েনে জেলাশাসকের আত্মহত্যা, দেখুন শিউরে ওঠা ভিডিও appeared first on Sangbad Pratidin.