shono
Advertisement
Pataligunjer Putul Khela Review

কেমন হল সোহম-দিতিপ্রিয়ার 'পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা'? পড়ুন রিভিউ

পলিটিক্যাল স্যাটায়ার ঘরানার সিনেমা কেন দেখবেন? ঝটপট জেনে নিন।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 06:44 PM Jan 16, 2025Updated: 06:46 PM Jan 16, 2025

উপাসনা রায়: মজার ছলে অনেককিছু বলতে চেয়েছে 'পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা' ছবিটি। পরিচালনায় 'মীরাক্কেল'-খ‌্যাত শুভঙ্কর
চট্টোপাধ‌্যায়। ফলে স্মার্ট সোশ‌্যাল স‌্যাটায়ার দেখার প্রত‌্যাশা নিয়ে হলে গিয়েছিলাম। হাসির ছবি ঠিকই, এই সময়ের সমাজ-রাজনীতি ছুঁয়ে গিয়েছে প্রায় প্রত্যেক ফ্রেমে। 'মীরাক্কেল'-এর প্রধান আকর্ষণ মীর রয়েছেন সঞ্চালকের ভূমিকায় ছবিতে কিছুক্ষণের জন‌্য। অন‌্যদিকে পরান বন্দ্যোপাধ‌্যায় অন‌্যতম প্রধান চরিত্রে। যিনি ছবির নায়ক গোপালের (সোহম মজুমদার) বাবার চরিত্রে।
এছাড়া রজতাভ দত্ত রাজনীতিকের রোলে। ছবিতে তাঁর অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই ছবি মূল যে প্রশ্নটি তোলে, মানুষ পুতুল নাচায়, আর একটা সময় সেই অন্যের হাতের পুতুল হয়ে যায়, হতে পারে ওপরওয়ালার হাতের পুতুল কিংবা সমাজের প্রভাবশালীর হাতের পুতুল।

Advertisement

গল্পটা কেমন? গোপাল (সোহম) গ্রামে ঘুরে ঘুরে পুতুলখেলা দেখায়। নিজের কাজ ভালোবাসে, অথচ বিশেষ রোজগার নেই তার। বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে থাকে সে। বাবার গুরুদেব (দীপংকর দে) গোপালের বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় গ্রামের একটি মেয়ে রাইয়ের (দিতিপ্রিয়া রায়) সঙ্গে। ঘটনাচক্রে রাই বিবাহবিচ্ছিন্না। তবে রাই আর গোপালের দেখাসাক্ষাৎ ইতিবাচক হওয়ায় বিয়েটা হয়ে যায়। মুশিকল হয় যখন স্থানীয় নেতা সুবোধ পালের (রজতাভ দত্ত) নজর পড়ে রাইয়ের ওপর। সে চায় নববধূকে পার্টির কাজে লাগাতে।
অন‌্যদিকে আর্থিক অনটনের চাপে গোপালের বাবা রাজি হয়ে যায় পুত্রবধূর রাজনীতিতে আসার প্রস্তাবে। ফলত পারিবারিক সম্পর্ক আর সমাজ-রাজনীতির বিশ্রী টানাপোড়েনের জাঁতাকলে পড়ে পরিবারটি। একসময় গোপালকেও রাজনীতিতে যোগ দিতে একপ্রকার বাধ‌্য করা হয়। পলিটিক‌্যাল স‌্যাটায়ার ঘরানার ছবি যত এগোয় মানুষগুলো একটু একটু করে বুঝতে পারে, ঘরের লোক
এককাট্টা থাকলে বাইরের লোক কিছুতেই ভাঙন ধরাতে পারে না। ঠিক যেমন দলের লোকের একতা থাকলে তবেই দল ঠিকঠাক চলে। বৃদ্ধ বাবাও একসময় বুঝতে পারেন আর্থিক অবস্থার উন্নতির তাড়নায় ছেলেবউ-এর রাজনীতিতে নামায় সায় না দিলেই হত। উদ্দেশ‌্য ভালো এই ছবির কিন্তু প্রয়োগ খুবই চটুল। প্রায় সব সংলাপেই হাস‌্যরসের উদ্রেক করার চেষ্টা অনর্থক। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক পরিসরকে তির্যক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে নানা ভাবে।

পরান বন্দ্যোপাধ‌্যায় তুখড় অভিনেতা তাঁকেও চিত্রনাট্যের কারণে বড় মেলোড্রামার শিকার হতে হয়েছে। রজতাভ দত্তর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ‌্য। সোহম মজুমদার স্বাভাবিক অভিনেতা, সহজ উপস্থিতিতেই তাঁকে চমৎকার লাগে, এ ছবিতেও ব‌্যতিক্রম নয়। দিতিপ্রিয়ার কমিক টাইমিং বেশ, তাঁকে দেখিয়েছেও ভালো। কিন্তু দুটি চরিত্রই দক্ষতার সঙ্গে লেখা যেত। ফলে মনে হয়েছে তাঁদের রসায়ন কোথায়! মজার রিয়েলিটি শো আর কমেডি সিনেমার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, সেইদিকে সজাগ হওয়ার দরকার ছিল। শেষ ভাগের দৈর্ঘ‌্য কম করা যেত। গোপী ভগতের সিনেমাটোগ্রাফি আর অনুপম রায়ের মিউজিক ভালো লাগে। অনেকদিন পর ছোট্ট চরিত্রে তনিমা সেনকে দেখে বেশ লাগল। ‘পান’ করার প্রবণতা কম করে চিত্রনাট্যে আরেকটু যত্ন নিলে ছবিটা ভালো হতে পারত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জার ছলে অনেককিছু বলতে চেয়েছে 'পাটালীগঞ্জের পুতুলখেলা' ছবিটি।
  • পরিচালনায় 'মীরাক্কেল'-খ‌্যাত শুভঙ্কর চট্টোপাধ‌্যায়।
  • এই ছবি মূল যে প্রশ্নটি তোলে, মানুষ পুতুল নাচায়, আর একটা সময় সেই অন্যের হাতের পুতুল হয়ে যায়।
Advertisement