সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ঢোলাহাটে পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় পরিবার। ঢোলাহাট থানার এসআই ও আইসির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেন মৃতের বাবা। এদিকে আইএসএফের দাবি, মৃত যুবক তাঁদের দলের সদস্য। সেই কারণেই এই অত্যাচার। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবারও উত্তপ্ত ঢোলাহাট থানা চত্বর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয়েছে ব়্যাফ।
পুলিশ হেফাজতে বেধড়ক মারের জেরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল মঙ্গলবার। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ঢোলাহাট থানা চত্বর। বুধবার ঢোলাহাট থানার এসআই রাজদীপ সরকার ও ঢোলাহাট থানার আইসির বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন নিহত যুবকের বাবা। এই ঘটনায় আইএসএফ জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত আবু সিদ্দিক হালদার আইএসএফের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবি জানায় আইএসএফ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: নজির গড়া পারফরম্যান্সে দুরন্ত ইয়ামাল, ফ্রান্সকে ছিটকে ইউরো ফাইনালে স্পেন]
বুধবার সকালে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন আইএসএফ কর্মীরা। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়েরর পরই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। আইএসএফ-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক মোল্লা বলেন, "আবু সিদ্দিককে পিটিয়ে মারা হয়েছে।" দোষী পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি। এদিন নিহত যুবকের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির নেতৃত্ব। জেলা কমিটির সম্পাদক জ্ঞানতোষ প্রামাণিক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত নয়, বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।