সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল এখন তালিবানের হাতে। এবার কাবুলের নীতি নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেবে পাকিস্তান। ফুলেফেঁপে ভারতের জন্য কাশ্মীরে বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলবে হাক্কানি নেটওয়ার্ক, লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফের ফোনে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানের হানা, নেপথ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI
আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশকেই। কাবুল বিমানবন্দরের দখল আপাতত হাতে রেখেছে আমেরিকা। উত্তাল দেশটি থেকে মার্কিন নাগরিকদের বের করে আনতে প্রায় ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা (America)। এপর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার মার্কিন নাগরিককের আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। এহেন সময়ে শুক্রবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফের ফোনে কথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে ফোন কথা বলেন বিদেশ সচিব ও ব্লিঙ্কেন। আফগানিস্তান নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। সেদেশ নিয়ে সহযোগিতা বজায় রাখবে দুই দেশ।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করেন জয়শংকর। এর একদিন আগে আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। বৈঠকে দ্রুত হিংসা থামানোর আবেদন জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গোটা বিশ্বের কাছে আফগাণ্ডের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। তালিবানের কাছে আফগানদের মানবাধিকারকে সম্মান জানানোর আরজিও জানান তিনি। তবে রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক কূটনৈতিক পালা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ভারত ও আমেরিকার উদ্বেগের পারদ চড়িয়ে চিনেই ভরসা রাখছে তালিবান (Taliban)। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনে চিন বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। গত জুলাই মাসে উত্তর চিনের তিয়ানজিন শহরে তালিবান নেতা আবদুল ঘানি বরাদর ও মুখপাত্র সুহেল শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বহুদিন ধরেই তালিবানের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল বেজিং। আমেরিকা ও ভারতকে বিপাকে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে জেহাদিদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে।