দুলাল দে: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইএসএলের টেন্ডার ডাকা হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে মহা ফাঁপরে পড়ল দেশের সেরা লিগে খেলা দলগুলি। এই মর্মে বৃহস্পতিবার ফেডারেশনকে একজোট হয়ে চিঠি লিখল আইএসএলে খেলা ১০টি দল। তাদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ফেডারেশন পদক্ষেপ করবে সেই আশায় ক্লাবগুলি সুপার কাপে খেলতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আইএসএল নিয়ে ফেডারেশনের কোনও হেলদোল নেই।
ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সিনিয়র সদস্যদের আপত্তিতে এখনও আটকে রয়েছে আইএসএলের টেন্ডারের নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে এবং ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সত্যনারায়ণ অ্যাওয়ার্ড ফাংশানে বুধবার সৌদি আরবে রওনা হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা ফিরবেন ২১ অক্টোবর। ফলে আইএসএলের টেন্ডার নোটিস কবে প্রকাশিত হবে, এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তারপরেই ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছে ১০টি ক্লাব। তাদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে চায় তারা। কিন্তু তাদের এই সহযোগিতার মানসিকতাকে যেন অপব্যবহার না করে ফেডারেশন।
উল্লেখ্য, ডামাডোলের সময় ফেডারেশন এবং এফএসডিএল একত্রে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আইএসএলের সব কাজ মিটিয়ে ফেলে ডিসেম্বর থেকে আইএসএল শুরু করে দেবে। কিন্তু এদিন ১৫ অক্টোবর অতিক্রম হয়ে গেলেও দেশের এক নম্বর প্রতিযোগিতা ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য কোনও টেন্ডার নোটিস প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এই অবস্থায় ডিসেম্বরে কীভাবে আইএসএল শুরু হবে, তা নিয়ে বিশাল সংশয় দেখা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, কেবল সুপার কাপ খেলার জন্য বিরাট ব্যয় করে দল গড়বে কেন ক্লাবগুলি?
যদিও ১০ ক্লাবের চিঠিতে সুপার কাপ না খেলা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু ফেডারেশনের টালবাহানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ যে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ, সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। সেখানে বলা হয়েছে, আইএসএল যে এখন ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে সেই নিয়ে ক্লাবগুলোর কোনও ধারণা নেই। যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে ফেডারেশন, তাতে ক্লাবগুলি বিশ্বাস হারাতে বসেছে। যেহেতু আইএসএল নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত, ফলে ক্লাবগুলির আর্থিক এবং অন্যান্য পরিকল্পনা ধাক্কা খাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ১০ ক্লাবের দাবি, টেন্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশ করতে হবে। তবে এই ১০ দলের তালিকায় নেই কলকাতার তিন প্রধান।
