আহাল এফকে: ১ (আনায়েভ)
মোহনবাগান: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের আগে মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা খানিক হুঙ্কারের সুরেই বলেছিলেন, এবার তিনি মোহনবাগানকে এশীয় মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু মোলিনার সেই লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খেল সবুজ-মেরুন শিবির। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-র প্রথম ম্যাচেই আহাল এফকের কাছে পরাস্ত হতে হল সবুজ-মেরুনকে।
মঙ্গলবার যুবভারতীতে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল আহালের। প্রথমার্ধে কার্যত খোলসের মধ্যেই ঢুকেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। আহালের আক্রমণের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল আলবার্তো, অলড্রেডদের। পালটা নাসিরি, লিস্টনরা বিচ্ছিন্নভাবে প্রতি আক্রমণে গেলেও কাজের কাজ হয়নি। প্রথমার্ধে গোলশূন্যভাবেই খেলা শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে একে একে ঝুলি থেকে নিজের তাসগুলি বের করা শুরু করেন মোহনবাগান কোচ। ম্যাকলারেন, রবসনরা নামার পর খানিকটা সড়গড় মনে হচ্ছিল সবুজ-মেরুনকে। কিন্তু থেমে থাকেনি আহালও। প্রতি আক্রমণে চেষ্টা করে গিয়েছে তারাও। সেটার ফলও মেলে ম্যাচের ৮১ মিনিটে। গোল করে আহালকে এগিয়ে দেন আনায়েভ। এই আনায়েভ আগেও কলকাতায় খেলে গিয়েছেন আর্কাদাগের হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। তাঁর করা একমাত্র গোলেই এদিন ম্যাচ জিতে নেয় তুর্কমেনিস্তানের ক্লাবটি।
বস্তুত এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান ফুটবলারদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চোখে পড়ল। যে সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছিল ডুরান্ড কাপেও। তাছাড়া ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়েও যে সমস্যা রয়েছে, সেটাও বোঝা গেল। তুর্কমেনিস্তানে ঘরোয়া লিগ শুরু হয় মার্চে। ফলে আহাল নিয়মিত খেলার মধ্যে ছিল। আর মোহনবাগান ডুরান্ডের পর এই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামল। দু'দলের মধ্যে ফারাকটা এদিন চোখে পড়ল।
