দুলাল দে: ২০২৬-র শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই ফেডারেশন সভাপতি থাকছেন কল্যাণ চৌবে? নির্বাচন নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। নতুন ক্রীড়া আইন অনুযায়ী যে নির্বাচন হওয়ার কথা, তা সুষ্ঠুভাবে করার জন্য জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের সব নির্বাচনের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২০২৬-র ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাতেই অনেকের মনে হচ্ছে, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হতে চলেছে। অর্থাৎ কল্যাণ নির্ধারিত সময়ের পরও ফেডারেশন সভাপতি থাকবেন।
না, বিষয়টি সেরকম নয়। জানুয়ারি থেকে প্রয়োগ হচ্ছে নতুন ক্রীড়া আইন। ক্রীড়ামন্ত্রক চাইছে সবকটি ফেডারেশন ক্রীড়া আইনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা শুরু করুক। এর মধ্যে রাজ্য ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশনগুলিও রয়েছে। সেই পরিকাঠামোর মেলবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। অনেক সংস্থা মনে করতেই পারে, ক্রীড়া আইন প্রয়োগ করতে তাদের দু'বছরও লেগে যেতে পারে। সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও সমস্ত ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতিকে পাঠানো এক চিঠিতে ক্রীড়া মন্ত্রক জানিয়েছে, যে ২০২৬-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রীড়া আইন প্রয়োগ করতে হবে। সেই অনুযায়ী ওই ফেডারেশনগুলিতে ভোট হবে।
কিন্তু সেটা কি এআইএফএফের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? ২০২২ সালে এআইএফএফের সভাপতি হয়েছিলেন কল্যাণ। চার বছরের মেয়াদ শেষে ২০২৬-র সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে সেপ্টেম্বরেই নির্বাচন হতে চলেছে। ডিসেম্বর সর্বোচ্চ সীমা, তার মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে, সব ফেডারেশন চাইলেই ওই সময়সীমা পর্যন্ত নিজেদের নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে। আর যদি পিছতে চায়ও, তাহলেও ফেডারেশনের জেনারেল বডির অনুমতি নিতে হবে।
কল্যাণের জন্য কাজটা এমনিতেই কঠিন। গত কয়েক বছরে ভারতীয় ফুটবল যেভাবে পিছিয়ে পড়ছে, তাতে অভিযোগের আঙুল উঠছে কল্যাণের দিকেই। ভারত বছর শেষ করেছে ১৪২ তম র্যাঙ্কিংয়ে। আইএসএল বন্ধ। কল্যাণ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকলে কী হবে, সেটা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে। ডিসেম্বর পর্যন্ত যে তা পিছচ্ছে না, তাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকে।
