সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফ্রান্সের কাছে হেরে গিয়ে শেষ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ইউরো সফর (Euro Cup 2024)। আগামী ইউরোতে আর দেখা যাবে না মহাতারকাকে। ইউরোর সঙ্গে সঙ্গে কি পর্তুগালের জার্সিতেও শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন সিআর সেভেন? সোশাল মিডিয়ায় পর্তুগাল-ফ্রান্স ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় রোনাল্ডোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত চর্চা সেই মহানায়ক নিজের কেরিয়ার নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
পর্তুগালের কোচ রবার্তো মার্তিনেজ অবশ্য জানাচ্ছেন, এখনই বুট জোড়া তুলে রাখছেন না রোনাল্ডো। সেরকম সম্ভাবনা তিনি অন্তত দেখছেন না। মার্টিনেজের এহেন মন্তব্য রোনাল্ডো ভক্তদের জন্য ভালো খবর। এখনও তাঁর পা থেকে ম্যাজিক দেখা বাকি। সাংবাদিক বৈঠকে মার্টিনেজ বলেছেন, ''ম্যাচের শেষে এটা বলা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। ব্যক্তিগত ভাবে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। এটুকু বলতে পারি।''
[আরও পড়ুন: বিদায় রোনাল্ডো, ইউরো মহাকাব্যে অন্তহীন পর্তুগিজ কিংবদন্তির বীরগাথা]
শিষ্য এমবাপের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। কিন্তু তাঁর পা বিদ্রোহ করে বসল। রোনাল্ডো নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি বলটা উড়ে যাবে ওভাবে। টাচলাইনের ধারে দাঁড়িয়ে মার্টিনেজ স্বয়ং অবাক হয়ে যান। পরক্ষণেই তিনি রোনাল্ডোকে উৎসাহ দিয়ে যান। সতীর্থরাও রোনাল্ডোকে সান্ত্বনা দেন। টাইব্রেকারে খেলা গড়ালে প্রথম শট থেকেই গোল করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে আগের রোনাল্ডোর মতো তো উজ্জ্বল দেখাল না! কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে আগের সেই গনগনে তেজটাও আর নেই।
পর্তুগালের হয়ে ২১২ ম্যাচে ১৩০ গোল রোনাল্ডোর। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর আশপাশে কেউ নেই। জার্মানিতে চলতি ইউরো কাপে টাইব্রেকার ছাড়া বিপক্ষের জাল কাঁপাতে পারেননি তিনি। এবারই প্রথম বার গোল না করেই বিদায় নিলেন কিংবদন্তি। ১০টি শট নিয়েও গোল পাননি। এমন রোনাল্ডোকেও আগে কখনও দেখা যায়নি। ভক্তরাও নিরাশ। রোনাল্ডো নিজেও কি হতাশ নন?
পর্তুগালের হয়ে ২০১৬ সালে ইউরো কাপ জিতেছিলেন রোনাল্ডো। ২০২৬ বিশ্বকাপে তিনি খেলেন কি না, সেটাই এখন দেখার। সেই সময়ে তাঁর বয়স হবে ৪১ বছর। বিশ্বকাপের অবশ্য এখনও দেরি আছে। তবে এটাই যে তাঁর শেষ ইউরো কাপ, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রোনাল্ডো। স্লোভেনিয়াকে হারানোর পর রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরো খেলতে আসা রোনাল্ডো বলেছিলেন, ''অবশ্যই এটাই শেষ ইউরো। আমার জেতার বা করার জন্য আর কীই-বা বাকি আছে?''
দীর্ঘ ফুটবল জীবনে আর কীইবা পাওয়ার আছে রোনাল্ডোর? সবই তো পাওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর। রোনাল্ডোর মতোই পেপেও হয়তো শেষবারের মতো খেলে ফেললেন ইউরো। তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডোর সম্পর্ক সবারই জানা। রোনাল্ডো কি কিছু বলেছেন পেপেকে? পর্তুগিজ ডিফেন্ডার বলেছেন, ''সর্বসমক্ষে বলব না। তবে কষ্টটা আমরা অনুভব করতে পারছি।'' পেপেও অবশ্য জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। রোনাল্ডোকে নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়।